খালেদ হোসেন টাপু, রামু
জেলা ছাত্রলীগের সদস্য ও রামুর ত্যাগী ছাত্রলীগ নেতা হোসাইন মাহমুদ রিফাতের অকাল মৃত্যুতে পুরো রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রামু উপজেলা থেকে জেলা, জেলা থেকে কেন্দ্রীয় রাজনৈতিকবৃন্দের কাছে তার মৃত্যুর এ খবর পৌঁছে গেছে।

শোকবার্তা পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদকসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন, কক্সবাজার জেলা’ রামু উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার আওয়ামীলীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো। এছাড়া জনপ্রতিনিধি সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া, ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দও শোক জানিয়েছে।

হোসাইন মাহমুদ রিফাতের মৃত্যুতে প্রিন্ট মিডিয়াসহ অনলাইন পত্রিকা জোরালোভাবে সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে এবং তার বন্ধু-বান্ধব, শুভাকাঙ্খী, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে শোক প্রকাশসহ তার কর্মময় জীবন নিয়ে বিভিন্ন স্মৃতি তুলে ধরছেন।

রিফাতের লাশ মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে।

শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টায় রিফাতের নামাজে জানাজা রামু খিজারী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে শুক্রবার রাত ৯ টায় সুদূর আমেরিকা থেকে বিমান যোগে ছাত্রলীগ নেতা রিফাতের মা খতিজা বেগম ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন।

রিফাতের চাচা সাবেক ছাত্রলীগনেতা সাব্বির আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন-আমেরিকা প্রবাসী মা খতিজা বেগম আদরের সন্তানের মৃতদেহ দেখতে শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে আমেরিকা থেকে বিমানযোগে ঢাকায় পৌঁছে গেছেন। শনিবার সকালের দিকে রামুতে পৌঁছবে বলে আশা করা হচ্ছে।

জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ হোসাইন তানিম বলেন, রিফাত একজন দলের নিবেদিত প্রাণ। তিনি গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেন তার মৃত্যুতে আমরা মর্মাহত। রামু উপজেলা ছাত্রলীগ এক যোগ্য নেতাকে হারিয়েছে। তার মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা সহজে পূরণ হবার নয়। রিফাতের মা বিমানযোগে আমেরিকা থেকে দেশে পৌঁছেছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। তার সাথে পরামর্শ করে পরবর্র্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ভোর ৩টা ৪৫ মিনিটে রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের শ্রীকূল গ্রামের নিজ বাসায় ঘুম থেকে জেগে ২৬ বছর বয়সী ছাত্রনেতা রিফাত হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করে বমি করেন। দ্রুত কক্সবাজার আল ফুয়াদ হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।