নিজস্ব প্রতিবেদক:
মহেশখালীর পাহাড়ী ইউনিয়ন ছোট মহেশখালীর মিথাইংগ্যার ছরায় দিন-দুপুরে ফিল্মি স্টাইলে মারধর করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতির খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকাল ১১টার সময় পাহাড়ী এলাকা মিথাইংগ্যার ছরা নামক স্থানে পৌরসভার গোরকঘাটার এড.ফারুক ইকবালের মালিকানাধীন খামার বাড়িতে। লম্বা ঘোনার বাসিন্দা বহু মামলার আসামী বাদশা গং পাহাড়ী এলাকার নির্জনে ডাকাতি করে লুটপাট করে বলে জানা যায়।
ধান্য চাষী ফোরকান জানান, আমি ২০ বছর যাবৎ এড.ফারুক ইকবালের জমিতে ধান্য চাষা হিসেব চাষাবাদ করছি কোন রকমে পরিবার চালাচ্ছি। কারো সাথে আমার শত্রুতা নাই। কিন্তু প্রায় সময় আমার থেকে বিভিন্ন ভাবে টাকা চাইত বাদশা ডাকাত। আমি ভয়ে মুখ বুঝে থাকতাম। বলতাম পরিবার চালতে হিমশিম খাচ্ছি টাকা কিভাবে দিব। কয়েকদিন আগে খামার বাড়িতে যাওয়ার পথে তিনি হুমকি দেয় যে টাকা না দিলে চাষাবাদ করতে পারবি না। সব কিছু শেষ করে দেব। এর ঠিক ৩দিন পরে বহু মামলার পলাতক আসামী ছোট মহেশখালীর ত্রাস বাদশা ও তার সহযোগীরা মিলে আমার মিথাইংগ্যার ছরা খামার বাড়িতে আমার দুই ছেলেকে মারধর করে গুরতর আঘাত করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে খামার বাড়ি ভেঙ্গে দিয়ে নিঃস্ব করে নিয়ে যায়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বাদশার প্রায় এমন কাজে লিপ্ত থাকে তার গ্যাং নিয়ে। গোরকঘাটা-শাপলাপুর রোডে ডাকাতি করে পাহাড়ী এলাকার গরীব অসহায় লোকজনের পারেন বরজ, গরু-ছাগল লুট করে আরো বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়। আহত ফোরকানের পুত্র শাহাজান জানায়, আমি ও আমার ভাই মিলে খামারে কাজ করছিলাম। কিছু বুঝে উঠার আগেই বাদশা ডাকাত আট/নয় জন লোক অস্ত্র ও দা কিরিস নিয়ে আমাদেরকে আঘাত করে খামার বাড়িটি ভেঙ্গে দেয়।
আহত সাহেল নুর জানান, বাদশার সাথে বাদশার পুত্র হাবিব উল্লাহ, আরিফ উল্লাহ ভাইপু মোজাম্মেল গুরা বাশির পুত্র আবদুল কাদের, কামাল পাশার পুত্র আবু ছিদ্দিক সহ আরো কয়েকজনে মিলে আমাদের মেরে গাছের খুটির সাথে বেঁধে রেখে ৩লক্ষ টাকা দামের ৪টি মহিষ, পান বেচা টাকা ২০হাজার এবং দুটি এনড্রয়েড মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জিহাদ বিন আলীর মুঠোফোনে বার বার ফোন দেওয়ার পরে এম.এম.এস দিয়েও কোন মোবাইল রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য জানা যায়নি।
মহেশখালী থানা অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ বলেন.‘আমার কাছে এখনো কোন অভিযোগ দেয়নি।’