এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া:

শুরু হচ্ছে মুলসমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব মাহে রমজান। পবিত্র এ মাসকে প্রাধান্য দিয়ে নিত্যপণ্যের বাজার ভোক্তা সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ইতোমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাজার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। হাট বাজারে নিত্যপণ্যের মুল্য তালিকাও টাঙ্গানো হয়েছে।

সারাদেশে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভোক্তা সাধারণের দুর্ভোগ লাগবে বাজার গুলোতে প্রয়োজনীয় মনিটরিং ব্যবস্থা শুরু করা হলেও ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে চকরিয়া উপজেলার হাট বাজার গুলোতে। রমজান মাসের শুরুতে বরাবরের মতো এবারও উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার গুলো এখনো প্রশাসনের নিয়ন্ত্রনে নেয়া হয়নি। এ অবস্থার কারনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানের হাট বাজার ও দোকান গুলোতে প্রতিদিন বেড়ে চলছে নিত্যপণ্যের লাগামহীন মুল্য। পাশাপাশি আগের মতো চলছে গলাকাটা বাণিজ্য, ঠকবাজি ও ওজনে কারচুপির মতো ঘটনা। বিশেষ করে চকরিয়া শহরের মাছ ও মাংসের দোকান গুলোতে ওজনে কম দেয়ার ঘটনা নিয়মে পরিণত হয়েছে। ঢাকা শহরে প্রতি কেজি গরুর মাংস সিটি কর্পোরেশন ৪৭০ টাকা ধরে বিক্রির জন্য নির্ধারণ করে সাইন টাঙ্গিয়ে দিলেও চকরিয়া উপজেলার হাট বাজার গুলোতে বর্তমানে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ থেকে ৬শত টাকা। একই অবস্থা বিরাজ করছে মাছ ও তরিতরকারীর দোকান গুলোতে।

রমজান মাসে হাট বাজার ও সুপার শপ গুলোতে নিত্যপণ্যের লাগামহীন বাণিজ্য, ভেজাল পন্য বিক্রি ও ওজনে কারচুপির বন্ধে উপজেলা প্রশাসন ও ভ্রাম্যমান আদালতের মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন ভোক্তা সাধারণ।