ইমাম খাইর, সিবিএন
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের মূল্যবান সম্পদ-সরঞ্জাম নিয়ে আর কোন টেনশন নেই। পর্যটকসেবায় ভূমিকা রাখছে বীচ ওয়াচ টাওয়ার। সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে স্থাপন করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। টাওয়ারে রয়েছে ২৫টি করে লকার। যেখানে পর্যটকরা তাদের মূল্যবান সম্পদ-সরঞ্জাম গচ্ছিত রেখে বীচে নামতে পারে।
সুদৃশ্য ওয়াচ টাওয়ার দুই অংশে ভাগ করা। নীচের অংশে লকার, উপরে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যদের বসার আলাদা ব্যবস্থা। এখানে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা ৩ শিফটে ২৪ দায়িত্বরত থাকেন। যে কারণে পর্যটকেরা শতভাগ নিরাপত্ত্বা নিয়ে সমুদ্র সৈকতের নামতে পারেন।
গত ৭ ফেব্রুয়ারী সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ‘শহীদ পারভেজ ওয়াচ টাওয়ার’ এবং কলাতলী বীচ পয়েন্টে ‘কলাতলী ওয়াচ টাওয়ার’ উদ্বোধন হয়।
লকার সম্বলিত টাওয়ার দু’টির নির্মাণে আর্থিক সহায়তা করেছে স্পীড কমিউকেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
সার্বিক সহায়তা করেছেন ট্যুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী।
সুগন্ধা পয়েন্টে শহীদ পারভেজ ওয়াচ টাওয়ারে সরেজমিন দেখা গেছে, ইমরান ও সাদ্দাম নামে দুই লকারকর্মী দায়িত্ব পালন করছেন। পর্যটকদের সুন্দর আচরণ দিয়ে তাদের মূল্যবান সরঞ্জাম লকারে রাখার ব্যবস্থা করছেন। পর্যটকরাও সেবা পেয়ে সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে।
ঢাকা থেকে আসা নিশান দপ্ততি জানান, বীচে নামার আগে মোবাইল, টাকাপয়সা, কাপড়চোপড় রাখা নিয়ে তারা চিন্তিত ছিল। লকার পেয়ে তারা নিশ্চিন্তে সাগর শোভা উপভোগ করেছে। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।
জানতে চাইলে লকারম্যান ইমরান জানায়, পর্যটকেরা তাদের মূল্যবান সরঞ্জামাদি লকারে রেখে সমুদ্র সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারছেন। সরঞ্জাম হারানোর ভয় নেই। শতভাগ আমানতদারীতার সঙ্গে তারা দায়িত্ব পালন করছেন।
লকার চার্জ বিষয়ে তিনি জানান, প্রতি ২ ঘন্টায় লকার ফি ১০০ টাকা। এরপর অতিরিক্ত ঘন্টায় ৫০ টাকা।
নির্মাণ সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান স্পীড কমিউকেশনের প্রধান নির্বাহী (সিইও) শিপন তালুকদার জানান, দেশী বিদেশী পর্যটকেরা অনেক আনন্দ উৎসাহ নিয়ে বীচে গেলেও মূল্যবান জিনিসপত্র রাখার স্থান নিয়ে তাদের মাঝে অনিশ্চয়তা ছিল। লকার দু’টির ব্যবস্থা করায় অনিশ্চয়তা কেটে গেছে। পর্যটকদের পূর্ণ আনন্দ উপভোগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
ট্যুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী জানান, লকারের পাশাপাশি ওয়াচ টাওয়ার থেকে সতর্কতামূলক প্রচারণা চালানো হয়। তাতে সৈকতে আসা দেশী বিদেশী পর্যটকদের সচেতনতা বাড়ছে।
এ সময় আগামীতে লাবণী পয়েন্টে আরো একটি লকার সম্বলিত ওয়ার করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান ট্যুরিস্ট পুলিশের এই কর্মকর্তা।