আব্দুস সালাম,টেকনাফ:
কক্সবাজারের সেন্টমার্টিনে বঙ্গোপসাগরে জেলের জালে ধরা পড়েছিল ২৩ কেজি ওজনের একটি পোপা মাছ। প্রথমে ট্রলারের মালিক মাছটির দাম হাঁকিয়েছিলেন ৭ লাখ টাকা। তবে ট্রলারের মালিক গণি মাছটি ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।

শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকালে আবদুল গণির মালিকানাধীন ‘এফবি মায়ের দোয়া’ নামে একটি ট্রলারে ২৩ কেজি ওজনের একটি পোপা মাছ ধরা পড়ে। পরে সেন্টমার্টিনের এক সওদাগর মাছটি কিনে নেন।
ট্রলারের মালিক আবদুল গণি বলেন, মাছটি স্ত্রী প্রজাতির হওয়ায় তিনি আশানুরূপ দাম পাননি।

আবদুল গণি বলেন, মাছটি ধরা পড়ার পর সেন্টমার্টিন জেটি ঘাটে তিনি দাম হাঁকিয়েছিলেন ৭ লাখ টাকা। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন দামে দর কষাকষি করে মাছটি কিনতে চেয়েছিলেন।
এরপরে এক ব্যবসায়ী মাছটি ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেন।

এ ব্যাপারে টেকনাফ উপজেলার জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, পোপা মাছের বায়ুথলি দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি করা যায় বলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই মাছের চাহিদা আছে।

স্থানীয় লোকজনের কাছে মাছটি ‘কালা পোপা’ নামে পরিচিত। এ মাছের মূল আকর্ষণ হলো পেটের ভেতরে থাকা পটকা বা বায়ুথলি (এয়ার ব্লাডার)। এই বায়ুথলি দিয়ে বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল সুতা তৈরি করা হয়। এ জন্য পোপা মাছের এমন চড়া দাম।

স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী নজির আহমদ বলেন, চলতি বছর স্থানীয় একটি ফিশিং ট্রলারে আরও একটি কালা পোপা মাছ ধরা পড়েছিল। এই মাছের পটকা থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে রপ্তানি হয়। তাই এই মাছের এত দাম চাওয়া হয়।

উল্লেখ্য, জেলে গনির জালে ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর ৩৪ কেজি ওজনের একটি পোয়া মাছ ধরা পড়েছিল। তিনি সেটি বিক্রি করেন ১০ লাখ টাকায়। ২০২০-এর নভেম্বর মাসে গনির জালে ধরা পড়া পোয়া মাছ বিক্রি হয় ৬ লাখ টাকায়। তৃতীয় বারের মতো নভেম্বর মাসে এসে জোড়া পোয়া মাছ ধরা পড়েছে মাছ দুটি ২ লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন। আজ আবারো তার জালে ধরা পড়ে ২৩ কেজির ওজনের পোপা মাছ যা ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।