নিজস্ব প্রতিনিধি:
জেলা পরিষদ মালিকানাধীন উখিয়া ডাকবাংলোর জায়গায় অবৈধ ভাবে দোকান নির্মাণ করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে । এতে করে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ ব্যয়পারে যোগাযোগ করা হলে জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবির চৌধুরী চরম হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন ডাক বাংলো জায়গায় অবৈধ ভাবে কারা দোকান তৈরি করেছে কি প্রক্রিয়ায় করেছে কক্সবাজার জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিল্লোল বিশ্বাস ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পিএ রেজাউল করিমের সাথে আলাপ করলে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে বলে পরামর্শ দেন।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায় উখিয়া সদর স্টেশনের ফরেস্ট রোডে জেলা পরিষদের জায়গায় ঝুপড়ি দোকান তৈরি করে একটি অস্থায়ী মার্কেট নির্মাণ করা হয় । যেখানে ২০/২৫ টি দোকান রয়েছে ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকই জানিয়েছেন , স্থানীয় প্রভাবশালীরা গোপন আঁতাত করে মোটা অংকের লেনদেনের মাধ্যমে অঘোষিত ভাবে ডাক বাংলোর জায়গায় দোকান তৈরি করেছে। যা আইন বহির্ভূত ।
স্থানীয় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা জানান , ২/৩ বছর থেকে জেলা পরিষদের নাম ব্যবহার করে ডাক বাংলোর জায়গায় দোকান ও গ্যারেজ তৈরি করে মোটা অংকের অগ্রিম সালামি ও মাসিক ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। অথচ এই বিশাল টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হচ্ছে কিনা তাও রহস্যাবৃত্ত।
ভাড়াটিয়া দোকানদার গণ জানান, সরওয়ার কামাল পাশাকে অগ্রিম এক লক্ষ টাকা এবং প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে ভাড়া দিতে হয় ।
এ প্রসঙ্গে মেম্বার সরওয়ার কামাল পাশা বলেন, জেলা পরিষদ থেকে লীজ নিয়ে দোকান তৈরি করা হয়েছে । ওপেন নিলাম বা কোন পদ্ধতিতে নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে উত্তর না দিয়ে তিনি অফিসের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে , কক্সবাজার জেলা পরিষদ গত ২৭ /১২ ২০২০ সালে স্থানীয় সরওয়ার কামাল পাশা এক ব্যক্তিকে ডাকবাংলোর জাগায় অবৈধভাবে নির্মাণকৃত দোকান ও গ্যারাজ অপসারণ করে নিয়ে যাবার জন্য বলা হয় ।
কক্সবাজার জেলা পরিষদ প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা হিল্লোল বিশ্বাস স্বাক্ষরিত চিটিত ( স্মারক নম্বর ৪৬.০০.২২০০.০০১.০০১.২০/৪১১) আরো উল্লেখ করেন ডাক বাংলো জায়গা বেআইনী ভাবে দখল করে দোকান ও গ্যারেজ নির্মাণ করে করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ । নোটিশ পাওয়ার ৭ দিনের অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলে অপসারণ করা না হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।
সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ জানান, জেলা পরিষদ নোটিশ দেয়ার দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও ডাক বাংলো জায়গায় কিভাবে অবৈধ স্হাপনা রয়ে যায় ? অনেকের মতে এখানে বড় অংকের লেনদেন হয়েছে। এ কারণে অবৈধ দোকান উচ্ছেদ প্রক্রিয়া ধামাচাপা পড়ে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে জেলা পরিষদের প্রধান নিবার্হী কর্মকর্তা হিল্লোল বিশ্বাস বলেন, জেলা পরিষদ মালিকানাধীন ডাক বাংলো জায়গায় অবৈধ ভাবে দোকান উচ্ছেদ করার জন্য আমরা আইনী প্রক্রিয়ায় অগ্রসর হচ্ছি । উক্ত বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হয় । যার মামলা নম্বর এমআর ১১৬৭/২০২০। তিনি আরও বলেন , আদালতের আদেশ পেলে প্রশাসনিকভাবে উচ্ছেদ করা হবে । অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিল্লোল বিশ্বাস জানান, ডাক বাংলোর জায়গায় দোকান তৈরি করার জন্য সরওয়ার নামে কাউকে লীজ বা ইজারা দেয়া হয়নি। এ ধরনের অর্ডার কেউ দেখাতে পারবে না