এম. এ আজিজ রাসেল :
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেছেন, চলমান কঠোর লকডাউনে নানান শ্রেণী পেশার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাই এসব মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিতরণ কার্যক্রম চলছে। পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ আছে। লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত সবাই পর্যায়ক্রমে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী পাবে। এ জন্য ২৯টি ক্যাটাগরি বিভক্ত করা হয়েছে। তারমধ্যে রয়েছে পরিবহন শ্রমিক, টমটম চালক, দর্জি, বাক—প্রতিবন্ধি, সেলুন কর্মচারি, সিএনজি চালক, দিনমজুর, রিকশাচালক, মুচি ও ভাসমান হত—দরিদ্র মানুষ। গত ৯দিনে প্রায় ২৫ হাজার কর্মহীন পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে।এছাড়া কারও ঘরে যদি খাবার না থাকে হটলাইন ৩৩৩ নাম্বারে কল দিলে স্বেচ্ছাসেবকরা খাবার পৌঁছে দেবে।

বুধবার (হোটেল-মোটেল জোনে পর্যটন কর্মী, বাহাছড়া মুক্তিযোদ্ধা মাঠে দর্জি ও ঝাউতলায় মাইক্রো-নোহা চালকদের মাঝে প্রধানমন্ত্রী উপহার খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে মানবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। অত্যন্ত স্বচ্ছভাবে এই মানবিক কার্যক্রম চলছে। বর্তমানে টিকা নিয়ে হতাশ হওয়ার কারণ নেই। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কক্সবাজারের সব মানুষ টিকা পাবে। তাই করোনা মোকাবেলায় সবাই নির্ভয়ে টিকা নিন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, কক্সবাজার পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের মাধ্যমে মানবিক সহায়তা কাজ চলমান রয়েছে। জনগণের সংগঠন হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আর আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে আছে। সেটা এবারও এই করোনা মহামারীর সময়েও প্রমাণ হয়েছে। আর জনগণের আস্থা, বিশ্বাসটা হচ্ছে আমাদের একমাত্র সম্বল। সেটাই আমাদের শক্তি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব শ্রাবস্তী রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জাহিদ ইকবাল, জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল কর।