সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও:
চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী থেকে একটি ব্যাটারী চালিত অটোরিক্সা (টমটম) চোরাই গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে।
এ সময় চোরাই সিন্ডিকেটের ১জনকে সনাক্ত করে স্থানীয়রা ওয়ার্ড মেম্বারকে সোপর্দ করেছে।
রবিবার (২৭ জুন) বিকেলে উপজেলার খুটাখালী ইউনিয়নের চড়িবিল থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় চোরাই গাড়িটি উদ্ধার করা হয়।
এসময় চুরির সাথে জড়িত মোহাম্মদ ওমর ফারুককে মুচলেকা নিয়ে ছাড় দেয়া হলেও তাঁর সিন্ডিকেটের প্রধান শুক্কুর পলাতক থাকায় বাকীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
গাড়ির মালিক মো মোক্তার আহমদ জানায়, গত ১৬ জুন রামু উপজেলার চৌমুহনি থেকে খুটাখালী যাওয়ার কথা বলে আবদু শুক্কুর ৩শ টাকায় রিজার্ভ ভাড়া নিয়ে ঈদগাঁওর দিকে আসছিলেন।
পথিমধ্যে মেহেরঘোনা এলাকায় তার স্ত্রী রুবিকে বাপের বাড়ি থেকে তুলতে হবে বলে গাড়িটি দাঁড় করায়।
এসময় শুক্কুর সামনে তার স্ত্রী পুত্র এবং ব্যাগটি নিয়ে আসতে বলে মোক্তারকে। সরল বিশ্বাসে গাড়ির মালিক মোক্তার সামনের দিকে গিয়ে কাউকে না পেয়ে গাড়ির দিকে ফেরত আসেন।
ততক্ষনে শুক্কুর গাড়িটি নিয়ে চম্পট দেয়। পরে তিনি মেহের ঘোনা এসে খোঁজ নিলে স্থানীয় সেচ্চাসেবকলীগ নেতা মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে ঈদগাঁও ষ্টেশনে এসে ব্যাপক খোঁজ নেয়।
একপর্যায়ে মাহাবু ঈদগাঁও বাস ষ্টেশনের আলাদীনের চেরাগের সিসি ক্যামরার সহায়তায় গাড়িটি ঈদগড়ে দিকে নিয়ে যাওয়ার ফুটেজ সংগ্রহ করেন।
দীর্ঘ ১ সপ্তাহের প্রচেষ্টায় মোক্তার ঈদগড় গিয়ে খোঁজ নিলে গাড়িটি খুটাখালীতে নিয়ে আসা হয়েছে বলে খবর পায়।
পরে তিনি রামু থানা ও চকরিয়া থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন। এতে খুটাখালী ইউনিয়নের আবদু শুক্কুর, সোলতান আহমদ,রানু বেগম, রুবি আক্তারকে আসামী করা হয়েছে। তবে গাড়িটি যে খুটাখালীতে নিয়ে আসা হয়েছে গাড়ির মালিক এ বিষয়ে নিশ্চিত হন।
রবিবার বিকেলে স্থানীয়দের সহায়তায় গাড়ির মালিক রামু উপজেলার পশ্চিম রাজার কুল ৪ নং ওয়ার্ডের মৃত আবদুল কাদেরের পুত্র মোকতার আহমদ
খুটাখালী চড়িবিল এলাকার আবদু ছালামের পুত্র মুবিন মিয়া প্রকাশ ইউনুসের বাড়িতে গিয়ে গাড়িটি সনাক্ত করে।
এ সময় স্থানীয়রা চোরাই গাড়িটি উদ্ধার করেন এবং চোর নিশ্চিত হওয়ায় সন্ধ্যায় ওমর ফারককে আটক করে ওয়ার্ড মেম্বার আনোয়ার হোছনের নিকট সোর্পদ করে।
এসময় ব্যাপক জিঙ্গাসাবাদে ওমর ফারুক গাড়িটি শুক্কুরের কাছ থেকে ক্রয় করে মুবিন মিয়া ওরফে ইউনুসকে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করার কথা স্বীকার করেন।
স্থানীয়রা জানায়, ধৃত যুবক পেশাদার চোর। মানুষের বসতবাড়িতে প্রতিনিয়ত চুরি সংঘটিত হচ্ছে। এরা আগেও ধরা পড়েছিল।
তবে অভিযুক্ত মুবিন মিয়া ওরফে ইউনুস জানায়, আমি ৬০ হাজার টাকায় কর্জ, কিস্তি নিয়ে গাড়িটি কিনেছি। চোরা গাড়ি আমি জানতাম না বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।
সে আরো বলে মুলত শুক্কুর, ফারুক ও সাইফুলের মধ্যস্থতায় গাড়িটি আমাকে বিক্রি করেছে।
ইউপি মেম্বার আনোয়ার হোসেন জানায়, তারা পেশাদার চোর। ৭/৮ জনের একটি চোর সিন্ডিকেট আছে। তারা চুরির কথা স্বীকার করেছে। আটককৃত ফারুক বলেছে এদের সিন্ডিকেটে কারা কারা আছে।
স্বাক্ষী প্রমানের ভিত্তিতে গাড়িটি মালিককে বুঝিয়ে দিয়ে অভিযুক্তদের কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয়েছে।