আবদুল মজিদ, চকরিয়া:

কক্সবাজারের চকরিয়ায় স্লুইচ গেইট অবৈধ জবর দখলে নিতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্য দিবালোকে মহড়া দিয়েছে। সন্ত্রাসীদের তান্ডবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বৈধ ইজারাদার পক্ষের দুই নারী-পুরুষ গুরুতর আহত হয়েছে। ১৯ মে দুপুর ১২.৩০ঘটিকায় উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের বাংলাবাজারস্থ পাউবোর ৫নং স্লুইচ গেইটের উপর ঘটেছে এ ঘটনা। এনিয়ে ইজারাদার পক্ষের শাহাদাত হোসেনের পুত্র সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হোছাইন মো: আরিফ বাদী হয়ে চকরিয়া থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেছেন ।

এতে আসামী করা হয়েছে; একই এলাকার হোছাইন মো: এরশাদ, মো: হোছাইন (মেম্বার), মো: রশিদ, মো: আমজাদ হোছাইন, মো: নয়ন, মো: মোর্শেদ, ইসরাত জাহান ঈশিতা, মো: আবছার, জিয়াউর রহমান, রুমা আক্তার, মো: শাকিল, মো: আখিরুজসহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫জনকে।

বাদী হোছাইন মো: আরিফ ২২মে’২১ বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে ও থানার লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, তারা ৬জনের নামে সরকারের পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এর আওতাধীন চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের পশ্চিম কোনাখালী বাংলা বাজার এলাকায় ৬৫ নং পোল্ডারের ৫নং স্লুইচ গেইট পরিচালনা, রক্ষণা-বেক্ষণ ও পানি ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব (ইজারা) পান। ১০মে’২১ইং তারিখে পাউবো’র স্মারক নং এস- ১১৪/১১৮১ মূলে ১জানুয়ারী’২১ইং থেকে ৩১ ডিসেম্বর’২১ইং পর্যন্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। কিন্তু তারা স্লুইচ গেইট রক্ষণা-বেক্ষণকালে ঘটনারদিন ১৯ মে দুপুর ১২.৩০ঘটিকার দিকে অভিযুক্তরা চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদারের নির্দেশে অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ভারি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে স্লুইচ গেইট জবর দখলে নিতে অস্ত্রের মহড়াসহ হামলা ও লুটপাট চালায়। এমনকি প্রকাশ্যে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে ইজারাদার পক্ষের মোস্তাক আহমদের পুত্র মো: রিফাত (২১) ও এক নারীকে। তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, অভিযুক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে এলাকায় খুন, ডাকাতি, দস্যুতা, জবর দখলসহ বিভিন্ন অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এ সন্ত্রাসী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কোনাখালী ইউনিয়নে জমি, মৎস্য ঘের, স্লুইচ গেইট জবর দখল থেকে শুরু করে করছেনা এমন অপরাধ খুব কমই আছে। তাদের অত্যাচার-নির্যাতনে কোনাখালীর সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

এদিকে, জানতে চাইলে অভিযোগ ও অস্ত্রের মহড়া অস্বীকার করেন কোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার।

কক্সবাজারের চকরিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মো. তফিকুল আলম বলেন, ঘটনার বিষয়ে থানায় দেয়া লিখিত অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কেউ অবৈধ অস্ত্র নিজ হেফাজতে রাখলে কিংবা কেউ অস্ত্রের মহড়া দিয়ে থাকলে তাও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি তিনি ইতিপূর্বে অবগত ছিলেননা।