এম.জিয়াবুল হক,চকরিয়া :

চকরিয়া উপজেলা বিএমচর ইউনিয়নের কৃষকের গোয়ালঘরে ঢুকে অভিনব কায়দায় চেতনানাশক স্প্রে ছড়িয়ে গরু চুরি করে পালিয়ে যাবার পথে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চোর সিন্ডিকেটের ২ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে চুরি করে নিয়ে যাওয়া একটি গরু ও জব্দ করা হয়েছে ব্যবহৃত একটি পিকআপ গাড়ি। মাতামুহুরী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মো.হাসান মাহমুদের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার সকালে বিএমচর ইউনিয়নের দক্ষিণ বহদ্দার কাটা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত দুই চোর হলেন উপজেলার পূর্ববড় ভেওলা ইউনিয়নের ঈদমনি এলাকার এজাহার হোসেন ওরফে টুকু মিয়ার ছেলে মো.রাজিব (২৪) ও পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের মাঝের পাড়া এলাকার আবদুল হামিদের ছেলে মো.শরীফ (১৯)।

এ ঘটনায় গরুর মালিক উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের দক্ষিণ বহদ্দার কাটা এলাকার মৃত আলমগীরের ছেলে মো.সৈয়দ হোসাইন বাদী হয়ে গতকাল চকরিয়া থানায় গ্রেফতারকৃত দুইজন ছাড়াও আরো দুইজনকে অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে মামলা করেছেন।

গরু মালিকের বরাত দিয়ে স্থানীয় বিএমচর ইউপি চেয়ারম্যান এসএম জাহাংগীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে দক্ষিন বহদ্দারকাটা গ্রামের সৈয়দ হোসাইনের গোয়ালঘরে ঢুকে প্রথমে চেতনানাশক স্প্রে ছড়িয়ে দেয়। তাতে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সেই সুযোগে একটি লাল রংয়ের বড় গরু চুরি দুইজন লোক একটি পিকআপ গাড়িতে তুলছিলেন। ওইসময় স্থানীয় জনতার চোখে ঘটনাটি ধরা পড়লে তাঁরা এগিয়ে এসে গরুসহ দুইজন চোর এবং গাড়িসহ আটক করে।

ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, পরবর্তীতে মাতামুহুরী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশকে গরুসহ দুই চোরকে সোপর্দ করেন স্থানীয় জনতা। ধারণা করা হচ্ছে, গ্রেফতারকৃত দুইজন আন্ত:জেলা চোর চক্রের হোতার লোক হতে পারে। তাদেরকে রিমা-ে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সত্যতা বেরিয়ে আসবে বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসি।

এলাকাবাসি দাবি করছেন, দক্ষিণ চট্টগ্রামে একটি বিশাল চোর সিন্ডিকেট রয়েছে চকরিয়া উপজেলায়। তারা পুলিশি অ্যাকশন এড়াতে নিত্যনতুন কৌশল অবম্বন করে চুরি কাজে বিভিন্ন পরিবহণের গাড়ি ব্যবহার করছেন। ফলে আড়ালে থেকে গরু চোরের মুল হোতারা পার পেয়ে যাচ্ছেন।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, উপজেলার বিএমচর এলাকা থেকে চোরাই গরুসহ চোর চক্রের দুইজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। এ ব্যাপারে গরু মালিক বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে।