নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখার অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা (এডিশনাল এলএও) বিজয় কুমার সিংহসহ সংশ্লিষ্ট ৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

এদের মধ্যে তিনজন সার্ভেয়ার, তিনজন কানুনগো ও একজন তহশিলদার রয়েছেন।

এছাড়া রয়েছে মহেশখালীর কালারমারছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ।

বুধবার (১৮ নভেম্বর) দুর্নীতি দমন কমিশন চট্টগ্রাম-২ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে হাজির হওয়া ওই ৯ জন হলেন- চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ, অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা বিজয় কুমার সিংহ, সার্ভেয়ার মিশুক চাকমা, পরিমল চন্দ্র দাস, পিকলো দাশ, কানুনগো আতাউল হক, আবদুল খালেক, বসন্ত কুমার চাকমা ও তহশিলদার জয়নাল আবেদীন।

দুর্ণীতি দমন কমিশনের চট্টগ্রাম-২ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের নির্ভরযোগ্য এক কর্মকর্তা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, দুর্ণীতি দমন কমিশনের চট্টগ্রাম-২ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারি পরিচালক মো. শরিফ উদ্দিন তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি র‌্যাবের অভিযানে ঘুষের ৯৩ লাখ ৬০ হাজার ১৫০ টাকাসহ গ্রেপ্তার হন কক্সবাজার ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখার সার্ভেয়ার ওয়াসিম খান। তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুদকের মামলার তদন্ত শুরু হলে গত তিনমাস ধরে কক্সবাজারজুড়ে এলএ শাখার দালালদের মধ্যে আতংক তৈরি হয়। ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হওয়া ৪ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

তাদের স্বীকারোক্তিতে জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, আইনজীবীসহ প্রায় অর্ধশত ব্যক্তির নাম উঠে আসে।

তাছাড়া আসামিদের স্বীকারোক্তিতে জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার বর্তমান ও সাবেক প্রায় ৫৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর নামে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। একই ধরণের অভিযোগ ক্ষতিপূরণের টাকার জন্য আবেদনকারীদের।