সংবাদদাতা:
সারাদেশে ধর্ষণ, নির্যাতন ও খুনের প্রতিবাদে জাগো নারী উন্নয়ন সংস্থা অবস্থান কর্মসূচি ও মানববন্ধন করেছে।
মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বিকালে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেেছন, নোয়াখালীতে নারীকে গণধর্ষন করে বিবস্ত্র নারীর ভিডিও প্রচার, খাগড়াছড়িতে ৯ জনে মিলে প্রতিবন্ধির মেয়ের হাতপা বেঁধে গণধর্ষণ, কিশোরী নীলা রায়কে ভাইয়ের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে হত্যা করা, আদিবাসী নারী ধর্ষণ, ঝালকাটিতে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধকারি স্বর্ণকিশোরী নাসরিন আক্তার সারাকে নির্যাতনসহ সম্প্রতি অসংখ্য ধর্ষণ, নারী নির্যাতন ও খুনের ঘটনা হয়েছে।
কক্সবাজারেও ৫ম শ্রেনীর এক মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষনের শিকার হয়েছে। যা ভয়ে ধর্ষিতার পরিবার মুখ খুলতে পারছেনা। পেকুয়ায় দুইবোন একসাথে ধর্ষনের শিকার হয়েছে। ধর্ষণ, যৌন নিপিড়ন এবং নারী নির্যাতন এখন ভয়াবহ নৈমিত্তিক ঘটনা। প্রশ্ন তুলে বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশটা কি ধর্ষকের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হলো ? আর কত নারী ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার হলে সরকার ও প্রশাসনের ঘুম ভাঙ্গবে?

জাগো নারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শিউলি শর্মার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, সংস্থার আন্দোলন সম্পাদক রিমা সুলতানা, এ্যাকশন এইড কর্মকর্তা সেলিনা শিরিন সিকদার, ওমেন লিডার মাসুদা মোর্শেদা আইভি, শাহানুর আক্তার চৌধুরী, এ্যাকশন এইডের কর্মকর্তা শামসুল হক সাকিব ও ইয়াং লিডার সালমা আক্তার।

সভায় বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ঠিক কিন্তু এখনো এদেশে নারীরা স্বাধীন হয়নি। তাই আজ তারা ঘরে বাইরে ধর্ষনের নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কোথাও তাদের নিরাপত্তা নেই।

ধর্ষন ও নারী নির্যাতন রোধে প্রতিবাদ সভায় নানা দাবী উপস্থাপন করা হয়। নারী নিপীড়নের প্রতিটি ঘটনা যথাযথভাবে আইনের আওতায় আনুন এবং সুবিচার নিশ্চিত করুন, ধর্ষণ ও নারী নিপড়নকারিদের রাজনৈতিক, দলীয় ও দলীয় আশ্রয় প্রশ্রয়দান সম্পুর্ণ বর্জন করুন, নারী নিপীড়ন মামলার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত নিশ্চিত করার জন্য প্রত্যেক থানায় প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষিত ও উদ্বুদ্ব নারী পুলিশ তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে এমন দাবি ৯ টি দাবি উপস্থাপন করা হয়।