নুরুল আমিন হেলালী :

কক্সবাজার সদরের ইসলামাবাদ ইউনিয়নে হঠাৎ করেই চোরের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে একের পর এক চুরি সংঘটিত হওয়ায় নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে স্থানীয়রা। বিশেষ করে ঈদুল আযহার আগে ও পরে থেমে থেমে বৃষ্টি থাকায় চুরির জন্যে এই মোক্ষম সময়টাকে বেছে নিয়েছে সংঙ্গবদ্ধ চোরেরদল।

এলাকাবাসীর মতে, করোনা মহামারির সময় এলাকার অনেক চিহ্নিত অপরাধী বিভিন্ন জায়গা থেকে ফিরে এসে চুরি ও মাদকসেবন থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। প্রথম প্রথম স্থানীয়রা গুরুত্ব না দিলেও চুরি বেড়ে যাওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে সচেতনমহল। স্থানীয়দের মতে, শুধু চলতি মাসেই প্রায় ডজন খানেক চুরি সংঘটিত হয়েছে ইসলামাবাদ ইউনিয়নে। চোর সিন্ডিকেট এতটাই সক্রিয় হয়ে উঠেছে যে তাদের হাত থেকে বাদ যায়নি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্টান, মসজিদ, প্রবাসীর বাড়ি, ব্যবসায়ীক দোকানপাট। চলতি মাসে ইউছুপেরখীল কমিউনিটি স্বাস্থ্য ক্লিনিকের মটর, উত্তর ইউছুপেরখীল মসজিদের ২টি মটর, হিন্দু পাড়ার সাতটি দোেকান, গোলাম কাদেরের পুত্র শাহজানের মোবাইল, মাজার এলাকার সুলাইমানের পুত্র আলি আকবরের বাড়ির রাইচ কুকার,ডেকসি,মোবাইল,স্থানীয় প্রবাসী মন্জুরের বাড়ির মোবাইল,নগদ টাকা,মটর ও চাকুরিজীবি হামিদের বাড়ির সীমানার প্রায় ২০০ফুট জিআই তারের নেট চুরি করেছে চুরের দল।

বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায়, ইসলামাবাদ ৫নং ওয়ার্ড়ের বাসিন্দা শাহ আলমের পুত্র মাদকসেবী জাহেদের নেতৃত্বে একই এলাকার বদি আলম, আমান উল্লাহ, রমজানসহ কয়েকজনের একটি সিন্ডিকেট রয়েছে যারা চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকান্ডে জড়িত। ১২আগষ্ট চুরি হওয়া হামিদের বাড়ির সীমানার লোহার নেট সন্দেহভাজন বর্ণিত চোরেরা প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে স্থানীয় মেম্বার ও এলাকাবাসীর চাপের মুখে ১৮আগষ্ট চুরি যাওয়া নেট ফেরত দিতে বাধ্য হয়েছে উল্লেখিত চোরের দল।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ওয়ার্ড় মেম্বার ছৈয়দ নুর হেলালী মুঠোফোনে জানান, চুরির ঘটনা তিনি শুনেছেন এবং চুরি যাওয়া কিছু নেট উদ্বারও করেছেন তবে চোরদের সনাক্ত করা গেলেও এলাকায় না থাকায় তাদের বিচারকার্য সম্পাদন করা যাচ্ছেনা। তবে চোরদের খুঁজে পেলে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি জানান। ঈদগাঁও তদন্ত কেন্দ্রের আইসি পুলিশ পরিদর্শক মোঃআসাদুজ্জামান বলেন, ইসলামাবাদে চুরির ঘটনা আমি শুনি নাই, কেউ আমার কাছে অভিযোগও করে নাই তবে কোন অভিযোগ পেলে তদন্তপুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।