ইমরান আল মাহমুদ, উখিয়াঃ
উখিয়া উপজেলার কোর্টবাজার-সোনারপাড়া সড়কের বেহাল দশায় অসহনীয় দুর্ভোগে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে যানবাহন। দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে বড় বড় খানা খন্দকে পরিণত হয়েছে সড়কটি। বর্ষার বৃষ্টিতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার কারণে যাতায়াতে তীব্র ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, কোর্টবাজার-সোনারপাড়া-ইনানী সড়ক খানা খন্দকে পূর্ণ হয়ে গেছে। অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যার ফলে দূর্ঘটনার মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত আসা যাওয়া করছে সাধারণ যাত্রীরা। যেকোনো সময় ছোট যানবাহন টমটম সিএনজি অটোরিকশা উল্টে মারাত্মক দূর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে হাজারো যাত্রী।
বর্ষার বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতার কারণে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে সড়কটি।
যাত্রী মোঃ আনোয়ার ইসলাম জানান, সড়কে খানা খন্দকে যাতায়াত করতে মারাত্মক বেগ পেতে হচ্ছে।
সোনারপাড়া সড়ক দিয়ে আসা আরেক যাত্রী ফরহাদ জানান,সড়কের অনেকাংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়াতে দূর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত আসা যাওয়া করতে হচ্ছে। সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হলে দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে জানান তিনি।
উখিয়া নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মোঃ মোবারক হোছাইন বলেন, কোটবাজার সোনারপাড়া এলজিইডি সড়কটি দীর্ঘদিন যাবত গাড়ী চলাচলের অযোগ্য হয়েছে অথচ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ নিয়ে কোন প্রকার মাথা ব্যথা নেই, এই সড়ক দিয়ে রোহিঙ্গাদের মানবিক সেবায় নিয়োজিত প্রায় তিন শতাধিক যানবাহন চলাচল করে। তাছাড়া সোনার পাড়ার রেজু ব্রীজ সেতু দিয়ে বড় পণ্যবাহী গাড়ী যাতায়াতে নিষেধ থাকায় হ্যাচারির পোনার গাড়ী সহ টেকনাফের শামলাপুর ক্যাম্পের ত্রাণবাহী গাড়ী কোটবাজার সৈকত রোড হয়ে যাতায়াত করে। ফলে ভাঙ্গা অংশটুকু ভেঙ্গে সড়কটিতে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তাই সড়কটির বেহাল দশা কাটছে না। বিশেষ করে সড়কে গর্তের কারণে, সৈকত সড়কে অবস্থিত বৌদ্ধ মন্দির এলাকায় প্রতিনিয়ত সিএনজি টমটম মটর সাইকেল গুলো দূর্ঘটনার শিকার হতে দেখা যায়। একই সমস্যা সোনারপাড়া বাজারের প্রবেশ পথেও।
এ ব্যাপারে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরীকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সড়কটি সংস্কারের জন্য এলজিইডির কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে এবং ইতিমধ্যে সোনারপাড়া বাজারের খানা খন্দকে সংস্কার করা হচ্ছে বলে জানান।
জনদুর্ভোগ লাঘবে সড়ক সংস্কারে ভূমিকা রাখার জন্য জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান স্থানীয় সচেতন মহল।