রাজু দাশ , চকরিয়া :
করোনা ভাইরাস ঠেকাতে সরকার স্বাস্থ্যবিধি কোনো ধরনের না মেনেই বহন করা হচ্ছে কক্সবাজার চকরিয়া যাত্রীবাহী গণ পরিবহন। প্রতি ৬০ শতাংশ ভাড়া বেশি নেওয়ার দাবি করলেও যাত্রীদের দ্বিগুণ ভাড়া নেওয়া অভিযোগ।

শনিবার (৯ আগষ্ট) চকরিয়া পৌর শহরে বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, গাড়ী চালক ও হেলপাররা মানছেন না স্বাস্থ্যবিধির ঘোষিত নির্দেশনা। মুখে নেই মাস্ক, হাতে নেই গ্লাফস, গাড়ীর সিট গুলো রয়েছে অপরিচ্ছন্ন। এ ছাড়া
গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচলের জন্য ভাড়ার যে নিয়মটা করে দেওয়া হয়েছিল তা মানছেন না কেই। প্রথমত অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন। সেই সাথে অতিরিক্ত যাত্রি তো থাকছেই। ভাড়া নিয়েও বাস কন্ট্রাক্টর এর সাথে যাত্রীদের কথা-কাটাকাটি যেন নিত্যদিনের এক অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। যাত্রীদের ধারণা, প্রশাসনের সুনির্দিষ্ট নজরদারি থাকলে এসব পতন ঘটানো সম্ভম বলে দাবী করেন যাত্রীরা।

যাত্রী সৈকত হোসেন জানান, কক্সবাজার থেকে চকরিয়ায় ব্যবসায়ী কাজে আসেন। তখন থাকে বাধ্য হয়ে গদাগদি করে আসতে হয়েছে। গাড়ী চালক ও হেল্পার নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করে পূর্বের ভাড়ার প্রায় দিগুন ভাড়া আদায় করছে এবং গাদি-গাদি করে যাত্রী উটা নামা করছে। যেখানে সরকারি নির্দেশনা গুলো মানাছেন না। রাস্থায় নজরদারীর জন্য সরকার ঘোষিত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন চেক পোষ্ট দেখতে মিলেনি।

চকরিয়া সচেতন মহল প্রতিবেদকে জানান, চকরিয়া মহাসড়কের পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে, পৌরসভা বাসস্ট্যান্ড, থানা রাস্তা মোড় সম্মুখে থেকে শুরু করে সব রোডে ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক, অটোরিকশা, অবাধে যাতায়াত করছে। এ সড়কে যানবাহনে শরীরের সাথে গা লাগিয়ে ঠাসঠাসি করে যাতায়াত করছে সাধারণ মানুষ। অথচ প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে একজন মানুষের থেকে আরেকজন মানুষের দূরত্ব কমপক্ষে ৩ ফিট থাকার জন্য বলা হচ্ছে। এমনকি দোকানে কেনাকাটা করতে গেলেও ৩ ফিট দূরত্বে থেকে কেনাকাটা করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। করোনা মোকাবেলায় মুখে মাস্ক হাতে গ্লোভস সহ এইসব সচেতনতাও মানছেন না। ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসন সেনা সদস্যদের টহল আরও জোরদার করার দাবি সচেতন মহলের।

এ বিষয়ে চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান জানান, কক্সবাজার চকরিয়া মহাসড়কে আমাদের চেক পোষ্ট রয়েছে, পরিবহন শ্রমিকরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চোঁখ ফাঁকি দিয়ে মাঝে মধ্যে যাত্রী পরিবহন করছে। আমাদের নজরদারি আরও বৃদ্ধি করা হবে বলে জানান।