সিবিএন ডেস্ক:
মেহেরপুরের গাংনীতে করোনা আক্রান্ত রেজাউল হক (৫০) নামের এক ব্যক্তি বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছেন। সোমবার (২২ জুন) ভোরে তিনি বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। গাংনী থানার ওসি ওবাইদুর রহমান জানান, রেজাউল বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে এমন সংবাদ পেয়ে তার বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়। সেখানে তাকে পাওয়া যায়নি। তার কর্মস্থল পাবনার চাটমোহর এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে তার সন্ধান করা হচ্ছে।

জানা গেছে, রেজাউল হক পরিচয় গোপন করে মেহেরপুর ফিন টাওয়ার ঠিকানা দিয়ে পরীক্ষার জন্য নমুনা দেয়। রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর তার বাড়ি গাংনী উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামে বলে নিশ্চিত হয় প্রশাসন। পরিচয় গোপন করে কেন নমুনা দেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে রেজাউলের মোবাইলে ফোন দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন। এরপরই তিনি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. রিয়াজুল আলম জানান, রেজাউল বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে এমন সংবাদ পেয়ে তিনিসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা তার বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নেন। করোনা আক্রান্ত রেজাউল ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে এমন সংবাদ পাওয়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, সেখানে রেজাউল নামের কেউ ভর্তি হয়নি। তবে অন্য কোনও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে কিনা তা সন্ধান করা হচ্ছে।
রেজাউলের স্ত্রী পাবনা জেলার চাটমোহর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কর্মরত হালিমা খাতুন জানান, তার স্বামী ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

বাড়ি থেকে কেন ঢাকায় গেলো এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রেজাউল তাকে জানিয়েছেন ঢাকায় কাজ রয়েছে তাই চলে গেছেন।

স্থানীয়রা জানান, অটোবাইকে চড়ে ভোর ৫টায় মুখে গামছা বেঁধে একটি বাসে উঠেছে রেজাউল। এ ঘটনায় অটোচালক লিটন আলী ও তার পরিবারের সদস্যদের লকডাউন করে রেখেছে প্রশাসন।

লিটন পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের জানিয়েছে, রেজাউলের বাবা মিথ্যা তথ্য দিয়ে তার অটোবাইক ভাড়া করেছিলেন।