আবদুল মজিদ, চকরিয়াঃ
চকরিয়া উপজেলার বিএমচর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পুচ্ছালিয়াপাড়ায় চলমান ভারি বর্ষণকে পূঁজি করে শ্রমিক দিয়ে পাহাড় খনন করে বৃষ্টির পানির সাথে মাটি অপসারণ করছে পাহাড় খেকোরা। ১৭জুন খেকে বেলা ২টার দিকে ভারি বর্ষণ অবস্থায় এ প্রতিবেদক সরেজমিনে গেলে এ ধরনের ভয়ংকর দৃশ্যই দেখা মেলে।
স্থানীয় সূত্র জানা গেছে, বিএমচর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পুচ্ছালিয়াপাড়ার পাহাড় খেকু মৃত সরফুদ্দিনের পুত্র আবদুল খালেক, আবদুল গফুর ও আবুল বশর, স্ত্রী মোমেনা খাতুন, নুরুল কবিরের পুত্র আবদুল কাদের, নরশা মিয়ার পুত্র আবদুল মোনাফ, আবুল কালাম ও আবু তালেব, মেয়ে শাহানা বেগম, সেলিনা ও লিমা বেগম, মোক্তার আহমদের পুত্র মনির আহমদ, তার ছেলে তারেক, তামজিদ, আলী আহমদ মেস্ত্রীর পুত্র মনির আহমদ, তার স্ত্রী জাহেদা বেগম, কবির আহমদের পুত্র আবুল কালাম, আবদুল কাদের, আবদুল গফুরের স্ত্রী নাছিমা বেগম, আবদুল খালেকের স্ত্রী জেসমিন আক্তার, মৃত আজম উল্লাহর ছেলে জাফর আলমসহ ৩০/৪০জনের সংঘবদ্ধচক্র প্রশাসনের চোখকে ফাকি দিয়ে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম শুরু হলে পাহাড় কেটে ও খনন করে ভারি বর্ষনের পানির সাথে মিশিয়ে মাটি ভাসিয়ে দেয়। ফলে অধিক পাহাড় ধ্বসে প্রাণহানীসহ ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি পাহাড়ের মাটি যুক্ত পানি পাশ্ববর্তী বসতবাড়ি ও চলাচল রাস্তায় একাকার হয়ে যাওয়ায় পরিবেশ নষ্ট হয়ে বসবাস ও চলাচল অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। একই নিত্য আতংকের মধ্যে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে প্রতিবেশি অসহায় পরিবার সমূহকে।
যার কারণে ওই এলাকার প্রতিবন্ধী পঙ্গু বয়োবৃদ্ধ অসহায় মরহুম ছিদ্দিক আহমদের পুত্র রশিদ আহমদের বাড়িসহ অসংখ্য ঘরবাড়ি ও স্কুল ভাঙ্গনের হুমকির মুখেও পড়েছে। স্থানীয়দের ধারণা- ভারি বর্ষনকালে পাহাড় কাটা ও খনন অব্যাহত রাখলে যেকোন মুহুর্তে ঘটে যেতে পারে পাহাড় ধ্বসের মর্মান্তিক প্রাণহানীসহ যান-মালের ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা।
সূত্রে জানাগেছে, বিগত সময়ে পাহাড় কাটার ফলে সংশ্লিষ্ট বনখেকুদের বিরুদ্ধে বন ও পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার বাদী হয়ে পাহাড় কেটে পরিবেশ নষ্ট করার অপরাধে ২টি মামলা রুজু হয়। এরপর থেকে পাহাড় কাটা কিছু বন্ধ থাকার পর বর্তমান বর্ষামৌসুমের সুযোগে ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে পাহাড় খেকুরা পাহাড় কাটা ও খনন শুরু করেছে। এনিয়ে স্থানীয় সচেতন মহল কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পরিবেশ অধিদপ্তর ও থানা প্রশাসনের দ্রুত কার্যকর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ শামসুল তাবরীজ বলেন, পাহাড় কাটা অবশ্যই পরিবেশ আইনে দন্ডনীয় অপরাধ। পরিবেশ নষ্টের এ কাজে কেউ জড়িত থাকলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি প্রয়োজনে শীঘ্রই ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চালিয়ে সাজা দেওয়া হবে বলে জানান।