কনক বড়ুয়াঃ
করোনাভাইরাসের প্রভাবে পুরো বাংলদেশ এক অসহনীয় দুর্ভোগের মাঝে সময় পার করছেন। দেশের অন্যান্য জেলার মতো কক্সবাজারও এর ব্যতিক্রম নয়। দেশব্যাপী মহামারী আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে কক্সবাজারও এর মোকাবেলায়।

দেশের এমন সংকটাপন্ন সময়ে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা মানুষজনের মধ্যে চিকিৎসা সংকট দেখা দেওয়া অস্বাভাবিক নয়। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনায় বিভিন্ন পর্যায়ের ছাত্রলীগ কর্মীরা নানাভাবে কর্মযজ্ঞ চালিয়ে গেলেও এক ব্যাতিক্রম উদ্যোগ নিয়েছে কক্সবাজার পৌর শাখা ৪নং ওয়ার্ড উত্তর ছাত্রলীগ।

গত ৬ জুন থেকে কক্সবাজার পৌরসভাকে রেডজোন চিহ্নিত করে লকডাউন ঘোষনা করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক। এই রেডজোন অবস্থায় যান চলাচল নাই বললেই চলে। যার ফলে পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের জনসাধারন দুর্ভোগে পড়েছে। অসুস্থ হলে জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে যাওয়ার কোন উপায় খুজে পাচ্ছেন না গৃহবন্দী জনসাধারন। যার জন্য “শুধুমাত্র হাসপাতালে রোগী নেওয়ার কাজে নিয়োজিত” স্টিকার লাগিয়ে পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের উদ্যোগে যানবাহন ব্যবস্থা করেছে। যা ইতিমধ্যে অনেকেই সহযোগিতা পেয়েছে এবং প্রশংসিত হয়েছে পৌর শাখার ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ।

সহযোগিতা পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইজবুক স্ট্যাটাসে ধন্যবাদ জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সদস্য সায়েদ হোসাইন কাদেরী।

তিনি লিখেছেন-এলাকায় যখন রেড় জোনঃ
আমার বাড়ীতে চাচীর হঠাৎ পেট বেতা(ডেলিভারি রোগী)গাড়ি নেই কোথাও, হঠাৎ কল দি আসিফকে আমার বাসা থেকে একজন রোগী হসপিটাল নিয়ে যেতে হবে। সে কল কেটে দিয়ে বাসার সামনে ৫ মিনিটের মাথায় গাড়ি পাঠিয়ে দেই। রোগী টিক সময়ে হাসপাতালে পৌছল আর ডেলিভারি সম্পন্ন হল।ছেলে এবং মা দুই জনেই সুস্থ আল্লাহ রহমতে।

তোমার এমন মহৎ কাজকে ধন্যবাদ প্রিয় আসিফ।

আজকে আমার কাজে আসছে। আরও অনেক জনের কাজে আসতেছে এবং আসবে।
কিন্তু একটা কথা বলে যায়, ছাত্রলীগের মহৎ কাজ গুলো সমাজে চোখে পড়ে না,কারণ ছাত্রলীগ যে কলম সন্ত্রাসের শিখার।

কক্সবাজার পৌর শাখা ৪নং ওয়ার্ড উত্তর ছাত্রলীগের সভাপতি আসিফ উল করিম বলেন, আমাদের জনবহুল দেশে করোনা সংক্রমণ রোধে সবচেয়ে বেশি জরুরি যেমন জনসচেতনতা, তেমনি চিকিৎসাও খুবই জরুরী দেশের এমন ক্রান্তিকালে। একারণে আমরা জনসচেতনতামূলক কাজের পাশাপাশি এই কর্মসূচি কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি।