মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

রোববার ৭জুন রাত ১২টা থেকে আগামী ২১জুন রোববার রাত ১১’৫৯ মিনিট পর্যন্ত রাজাপালং ইউনিয়নের ২, ৫, ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড, পালংখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে (আংশিক বালুখালী বাজার), ৪ নম্বর ওয়ার্ড ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড (আংশিক থাইংখালী বাজার) এবং রত্নাপালং ইউনিয়নের কোটবাজার লকডাউন (Lockdown) থাকবে। উখিয়া ইউএনও এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নিকারুজ্জামান
রোববার ৭জুন থেকে ১৪দিনের লকডাউন চলাকালে উখিয়ার ‘রেড জোন’ ঘোষিত উল্লেখিত এলাকার জন্য জরুরী নির্দেশনা জারী করেছেন। উখিয়া উপজেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সিদ্ধান্তক্রমে ৮দফা এ কঠোর নির্দেশনা জারী করা হয়। এছাড়া গত ৬ জুন অনুষ্ঠিত উপজেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভায় রাজাপালং ইউনিয়নের ২, ৫, ৬ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড, পালংখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডে (আংশিক বালুখালী বাজার), ৪ নম্বর ওয়ার্ড ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড (আংশিক থাইংখালী বাজার) এবং রত্নাপালং ইউনিয়নের কোটবাজার এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।

নির্দেশনা অনুযায়ী ‘রেড জোন’ এ আবশ্যক বিবেচনায় শনিবার রাত ১২ টা হতে পরবর্তী ১৪ দিনের জন্য কঠোর নির্দেশনা জারী করা হয়েছে।

নির্দেশনা অনুযায়ী সকল জনসাধারণ আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ আবাসস্থলে অবস্থান করবেন।
সকল ব্যক্তিগত ও গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বহনকরী হালকা ও ভারী যানবাহন রাত ৮.০০ ঘটিকা থেকে সকাল ৮.০০ পর্যন্ত ঘটিকা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে।

সকল প্রকার শপিং মল, দোকান, মার্কেট, বাজার, হাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র সোমবার ও বৃহস্পতিবার কাঁচা বাজার ও মুদির দোকান স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে সকাল ০৮.০০ ঘটিকা থেকে বিকাল ০৪.০০ ঘটিকা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। ঔষধের দোকান এর আওতার বাইরে থাকবে। একইভাবে শুধুমাত্র রবিবার ও বৃহস্পতিবার বাণিজ্যিক ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ খোলা রাখা যাবে।

উখিয়ার ইউএনও এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নিকারুজ্জামান কর্তৃক জারীকৃত এ সংক্রান্ত নির্দেশনা নিন্মে তুলে ধরা হলো –

“জরুরী ঘোষণা, জরুরী ঘোষণা, জরুরী ঘোষণা

এতদ্বারা উখিয়ার রেড জোন এলাকার সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, কোভিড-১৯ সংক্রমণ কার্যকর ও অধিকতর দক্ষতার সাথে নিয়ন্ত্রনে আনার লক্ষে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ সংক্রান্ত উখিয়া উপজেলা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক উল্লেখিত এলাকাকে রেড জোনের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রেড জোনে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা আবশ্যক বিবেচনায় আগামী ৭জুন ২০২০ খ্রি. রাত ১২.০০ ঘটিকা থেকে ২১ জুন ২০২০ খ্রি. রাত ১২’০০ ঘটিকা পর্যন্ত নিম্নবর্ণিত নির্দেশনা প্রদান করা হল।
রেড জোন এলাকায়-
১. সব ধরণের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক গণজমায়েত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল। সকল জনসাধারণ আবশ্যিকভাবে নিজ নিজ আবাসস্থলে অবস্থান করবেন।

২. সব ধরণের ব্যক্তিগত ও গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বহনকারী হালকা ও ভারী যানবাহন রাত ৮টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত চলাচল করতে পারবে। কোভিড-১৯ মোকাবেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি গাড়ি চলাচলে উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি গ্রহণ করতে হবে। অ্যাম্বুলেন্স, রোগী পরিবহন, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ব্যত্তিবর্গের (অনডিউটি) পরিবহন, কভিড-১৯ মোকাবেলা ও জরুরী সেবা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষের গাড়ি এর আওতার বাইরে থাকবে।

৩. সব ধরনের দোকান, মার্কেট, বাজার, হাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র সোমবার ও বৃহস্পতিবার কাঁচা বাজার ও মুদি দোকান স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত আকারে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে। ওষুধের দোকান এর আওতার বাইরে থাকবে।

৪. কেবলমাত্র কোভিড-১৯ মোকাবেলা ও জরুরী সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সীমিত আকারে খোলা থাকবে। কেবলমাত্র রবিবার ও বৃহস্পতিবার ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ খোলা থাকবে। সব হাসপাতাল, চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান ও কোভিড-১৯ মোকাবেলায় পরিচালিত ব্যাংকিং সেবা প্রদান এর আওতার বাইরে থাকবে।

৫. প্রকাশ্য স্থানে বা গণজমায়েত করে কোন প্রকার ত্রাণ, খাদ্য সামগ্রী বা অন্য কোন পণ্য বিতরণ করা যাবে না।

৬. সব ধরনের গণপরিবহন টার্মিনাল রেড জোনের বাইরে স্থানান্তর করতে হবে।

৭. জরুরি সংবাদ সংগ্রহের জন্য নির্বাচিত সংবাদকর্মীদের রেড জোনে কাজ করার নিমিত্ত ও রেড জোনে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবীদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উখিয়া কর্তৃক প্রদত্ত ছবিযুক্ত বিশেষ পরিচিতিপত্র দৃশ্যমান অবস্থায় গলায় ঝুলানো থাকা সাপেক্ষে কাজ করার অনুমতি দেয়া হবে।

৮. রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে কর্মরত প্রতিষ্ঠানের কর্মী শরনার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে চলাচল করতে হবে। তবে ‘রেড জোন’ এলাকায় তাদের কোন কার্যক্রম চালানো যাবেনা।

মোঃ নিকারুজ্জামান
উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উখিয়া, কক্সবাজার।”