মুহিববুল্লাহ মুহিব, সিবিএন :

দক্ষিণপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফান’ আরও শক্তিশালী হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে শক্তি সঞ্চয় করে আম্পান চার নম্বর ক্যাটাগরির ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় পূর্বাভাস সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কয়েকটি ওয়েবসাইটে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ২৪১ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ২৯৬ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

এর মধ্যে দিক পরিবর্তন না করলে মঙ্গলবার (১৯ মে) শেষ রাতের দিকে বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে ঘুর্ণিঝড়টি এমন তথ্য দিচ্ছে কর্মকর্তারা।

সোমবার (১৮ মে) এটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ১৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আবাহাওয়া অফিস।

তবে এখনো চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

কক্সবাজার আবাহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা ফরমান আলী সিবিএনকে বলেন, ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ১১০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়া আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।