বার্তা পরিবেশক :

কক্সবাজারের শহরের ‘পাহাড়তলী ৭নং ওয়ার্ড জনকল্যাণ বহুমূখী সমিতি’র বিরুদ্ধে নানা পন্থায় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে একটি চক্র। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও জমি আত্মসাত করতে না পেরে এ চক্রটি সমিতিকে নানাভাবে হেয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তারই ধারবাহিকতায় গত ১০ মে বিভিন্ন অনলাইনে ‘পাহাড়তলী সমিতির জমানো টাকা ফেরত চাইলে হত্যার হুমকি দিচ্ছে, ২২ লাখ টাকা আত্মসাত’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ প্রকাশ করে চক্রটি। যা সম্পুর্ণ উদ্দেশ্যে প্রণোধিত, মিথ্যা ও বানোয়াট।

মূল ঘটনা হলো, প্রতিষ্ঠা পরবর্তীতে সমিতির নিজস্ব অর্থে সমিতির নামে ক্রয় করা হয় ব্যাটারী চালিত দুটি টমটম গাড়ি ও ১৬ শতক খাস জমি।
এছাড়াও ইতিপূর্বে সমিতির টাকায় অনেক জমি ক্রয় বিক্রয় করে সকলে লভ্যাংশের ভাগিদার হয়েছেন। কিন্তু সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুলের মাধ্যমে সমিতির নামে ক্রয়কৃত জমির সব টাকা সমিতি বুঝিয়ে দিলেও বাবুল সমিতির পুরো জমি বুঝিয়ে দেয়নি এখনো। এর জন্য সমিতি থেকে চাপ দেয়া হলে তিনি বিষয়টি আড়াল করার জন্য নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন। গত ১০ মে করা নাম সর্বস্ব সংবাদ সম্মেলন ও সংবাদ প্রকাশ ওই ষড়যন্ত্রেরই অংশ।

সমিতি সুত্রে জানাযায়, সমিতির নামে ক্রয়কৃত ১৬ শতক জমির মধ্যে ৮ শতক জমির মালিক বাবুল। কিন্তু ১৬ শতক জমির টাকাই সমিতি পরিশোধ করেছে। কিন্তু জমি বুঝিয়ে না দিয়ে তা আত্মসাতের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে মুজিবুর রহমান বাবুল। যা নিয়ে সমিতির নেতৃবৃন্দ তাকে জমি বুঝিয়ে দেয়ার জন্য তাগাদা দিলে সে বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো সমিতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

বাবুলের এই আত্মসাৎ সিন্ডিকেটে যুক্ত হয়েছে সমিতির সদস্য মো: কায়েস উদ্দিন, মো: ইসমাইল এবং আবুল হোসেন। যারা তার পেছনে থেকে সমিতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

সমিতি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অগোচরে কিছু সরলমনা মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হবে বলে একজায়গায় জমায়েত করে বাবুল সিন্ডিকেট সংবাদ সম্মেলন করেছে বলে জেনেছি। যা সমিতির সভাপতি সাধারণ সম্পাদক অবগত নয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকা সমিতির সদস্য জাহাঙ্গীর বলেন, মূলত সংবাদ খবর আমরা জানিনা। ত্রাণ দেয়া হবে বলে বাবুল আমাদের নিয়েছিল।

সমিতির সভাপতি শামসুল আলম জানান, জমি ও অর্থ আত্মসাত করতে না পেরে সমিতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বাবুল সিন্ডিকেট। যা আড়াল করতে কো-মানষে ভিন্ন পন্থা অবলম্বনের বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে সংবাদ মাধ্যমে। তাই সকল প্রিয় সাংবাদিক ভাইদের এসব ষড়যন্ত্র এড়িয়ে চলার আহবান জানাচ্ছি।

তিনি আরও জানান, যে সকল সদস্য মৃত্যুবরণ করেছে ইতিমধ্যে তাদের অর্থ ফেরত দেয়া হয়েছে। এছাড়াও তাদের দাফনসহ নানা খরচ সমিতি বহন করেছে। আর যারা সমিতি থেকে বের হয় যাবে বা অর্থ দরকার তারা যদি লিখিত আবেদন করলে আমরা ফেরত দিবো।

সমিতির নেতৃবৃন্দ জানায়, ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বর্তমানে ২০৯ সদস্যের এই সমিতির নিজস্ব তহবিলের অর্থ সামাজিকতা ছাড়াও সমিতির বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হয়।
কিন্তু,সমিতির পক্ষে প্রতিনিধিত্বের সুবাধে সহজ সরল সদস্যদের ধোকা দিয়ে উক্ত ১৬ শতক জমির ৮ শতক নিজের নামে মালিকানা দলিল করে নেয় বাবুল সিন্ডিকেট। পরবর্তীতে অন্য সকল সদস্যদের চাপের মুখে আত্মসাৎকৃত জমি সমিতির নামে হস্তান্তর করবেন বলে কালক্ষেপণ করে আসলেও সম্প্রতি সময়ে সমিতি পক্ষ থেকে তাগাদা দেয়া হলে তিনি সকলের বিরুদ্ধে ভিন্ন পন্থা অবলম্বন করার অপচেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে।

জমি আত্মসাৎ ছাড়াও এই বাবুল গত ২০১৮ সালে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাঁশের ব্যবসা করার অযুহাতে সমিতির তহবিল থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ গ্রহণ করে। উক্ত টাকায় পরিচালিত বাঁশের ব্যবসার লভ্যাংশ থেকে তিন ভাগের এক ভাগ সমিতির ফান্ডে দেয়া হবে বলে চুক্তি বদ্ধ হলেও আজ পর্যন্ত কোন লভ্যাংশের টাকা পায়য়নি সমিতি।

সমিতির সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জাফর আলম বলেন, করোনার দোহাই দিয়ে বাবুলসহ মুষ্টিমেয় কয়েকজন কুচক্রী মহল স্বনামধন্য এই সমিতিকে জড়িয়ে যেসকল কুৎসা রটাচ্ছে তার কোন ভিত্তি আছে বলে আমি মনে করিনা।

যেহেতু বাবুল নিজেই কৌশলে সমিতির বিশাল একটা ক্ষতি করেছে। পাশাপাশি তার নিজের অপকর্ম ঢাকতে সে অসহায় লোকজনকে জিম্মি করে তার ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।

পরিশেষে সমিতির সচেতন সকল সদস্যরা একযোগে ক্রয়কৃত জমি এবং ঋণের টাকা পরিশোধ করার জন্য পেসার প্রয়োগ করলে অবুঝমনা গুটিকয়েক সদস্যদের ধোকা দিয়ে পক্ষপাতিত্বের মাধ্যমে সমিতিতে আত্ম কোন্দল সৃষ্টির পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে।