মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :
কক্সবাজারের ১৩ জন করোনা রোগীর একত্রে চিকিৎসা হবে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনের ৫০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেন হাসপাতালে। কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ মাহবুবুর রহমান সিবিএন-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিভিল সার্জন আরো জানান, একটি আইসোলেসন হাসপাতাল পরিচালনা করতে চিকিৎসক, নার্স, ক্লিনার, আয়া, সাধারণ স্টাফ সহ ৬৫/৭০ জন জনবল দরকার। জেলার উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোর প্রত্যেকটিতে ৫ শয্যার আইসোলেসন ইউনিট প্রস্তুত রাখা হলেও সেগুলোতে জনবল সংকট রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুলো হতে কিছু চিকিৎসক, নার্স, ক্লিনার, আয়া, সাধারণ স্টাফ ডেপুটেশনে এনে রামু আইসোলেন হাসপাতালটিকেই পরিপূর্ণ একটি আইসোলেসন হাসপাতাল হিসাবে পরিচালনা করা হবে। এজন্য মহেশখালী ২৪ এপ্রিল করোনা ভাইরাস জীবাণু ধরা পড়া ৫ জন করোনা রোগী সহ মহেশখালী উপজেলার মোট ৮ জন করোনা রোগীকে আগাগী শনিবার ২৫ এপ্রিল সকালে রামু আইসোলেন হাসপাতালে নিয়ে আসা হবে। তিনি আরো জানান, মহেশখালীতে ২৪ এপ্রিল করোনা ভাইরাস জীবাণু ধরা পড়া ৫ জন করোনা রোগীকে ইতিমধ্যে হোম কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের বাড়ি ও চলাচল করা এলাকা লকডাউন (Lockdown) করে দেওয়া হয়েছে।
টেকনাফে ২৪ এপ্রিল করোনা ভাইরাস জীবাণু ধরা পড়া ১ জন করোনা রোগীসহ ৩ জন রোগীকেই রামু আইসোলেন হাসপাতালে ২৪ এপ্রিল রাত্রে নিয়ে আসা হয়েছে।
২৪ এপ্রিল করোনা ভাইরাস জীবাণু ধরা পড়া কক্সবাজার পৌরসভার ১ জন করোনা রোগীকেও ইতিমধ্যে রামু আইসোলেন হাসপাতাল নিয়ে সেখানে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। একইভাবে কক্সবাজার পৌরসভার টেকপাড়ার করোনা রোগী আবুল কালাম গত ২২ এপ্রিল থেকে রামু উপজেলা হাসপাতালের আইসোলেসন ইউনিটে চিকিৎসাধীন আছেন।
গত ২৪ মার্চ সনাক্ত হওয়া কক্সবাজারের প্রথম করোনা রোগী মুসলিমা খাতুন সুস্থ হয়ে গত ৮ এপ্রিল বাড়িতে ফিরে এসেছেন।
বাকী যে ১৩ জন রোগীকে রামু আইসোলেন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হবে তারা হলো : কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের ল্যাবে
২৪ এপ্রিল বিকেলের শিফটে পজেটিভ পাওয়া রোগী-মহেশখালী উপজেলার কালারমার ছরা ইউনিয়নের নয়াপাড়ার মোহাম্মদ রিয়াদ (৩৪), ইউনুসখালীর মোহাম্মদ আবদুল্লাহ (৩৫), বড়ুয়া পাড়ার অঞ্জলি বড়ুয়া (৩৫), চাইল্ল্যাতলীর হোসাইন সাব্বির (৩০) এবং হোয়ানক ইউনিয়নের ডেইল্ল্যা ঘোনার হেলাল উদ্দিন (২৮)।
শুক্রবার ২৪ এপ্রিল সকলের শিফটে স্যাম্পল টেস্ট রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ আসা কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ রুমালিয়ার ছরার আবু বকর ছিদ্দিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সন্নিকটে আবু ছৈয়দের পুত্র শাহ আলম (৩৩)।
শুক্রবার ২৪ এপ্রিল সকলের শিফটে স্যাম্পল টেস্ট রিপোর্ট ‘পজেটিভ’ আসা অপর রোগী নুরুল আলম (২২)। তার বাড়ি টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মিটাপানির ছরার তুলাতলী গ্রামে।
টেকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রোডের নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা মৃত এজাহার আহমদের পুত্র আবুল কালাম (৫৫)।
গত ২৩ এপ্রিল করোনা ভাইরাস জীবাণু ধরা পড়ে হোয়াইক্ষ্যং ইউনিয়নের খারাইঙ্গাঘোনা তাবলীগ ফেরত মোহাম্মদ ইদ্রিস (৪২)।
মহেশখালী উপজেলার অন্য ৩ জন করোনা রোগী হলো- শাপলাপুর ইউনিয়নের-মুকবেকী এলাকার মোঃ বশিরের পুত্র গার্মেন্টস কর্মী মোঃ রায়হান (২৪) এবং অপরজন মুরুং ঘোনা এলাকার আবদুল খালেকের পুত্র আবু হানিফ (১৭), সে ছাত্র। এছাড়া একই উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মিয়াজি পাড়ার হালিমা সাদিয়া (২৫), সে গৃহবধু। আর একজন হলো টেকনাফের বাহারছরা ইউনিয়নের ৭ নাম্বার ওয়ার্ডের মারিশবনিয়া গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর পুত্র মোঃ হোছাইন।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।