মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

কক্সবাজার শহরের টেকপাড়ার করোনা রোগীকে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেসন হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। বুধবার ২২ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭ টার দিকে আইওএম এর একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে করোনা রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি কক্সবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মোঃ মাহবুবুর রহমান সিবিএন-কে জানিয়েছেন।

এ্যাম্বুলেন্সে করোনা রোগীর সাথে কক্সবাজার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলী আহসানও রয়েছেন।

রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া সিবিএন-কে জানান, তাকে বুধবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে করোনা রোগীকে রিসিভ করার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। তারা করোনা রোগীর চিকিৎসায় সবকিছু প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন বলে ডা. নোবেল কুমার বড়ুয়া জানান।

রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন একটি ভবনে ৫০ শয্যার একটি আইসোলেসন ইউনিট আগে থেকেই করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করা রাখা হয়েছে। টেকপাড়ার করোনা রোগী হবে রামু আইসোলেন হাসপাতালের প্রথম রোগী।

এর আগে একইদিন বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে করোনা রোগীর বাড়িটি লকডাউন (Lockdown) করে দেওয়া হয়। কক্সবাজার সদর উপজেলার ইউএনও মু. মাহমুদ উল্লাহ মারুফ এর নেতৃত্বে কক্সবাজার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য টিম গিয়ে বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে কক্সবাজার পৌরসভার ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের টেকপাড়া চৌমুহনী সংলগ্ন পশ্চিম পার্শ্বে টেকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রোডের করোনা রোগীর বাড়িটি লাল পতাকা উড়িয়ে লকডাউন (Lockdown) করে দেন। এসময় কক্সবাজার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলী আহসান, কক্সবাজার পৌরসভার ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিদারুল আলম রুবেল সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ২০ এপ্রিল উক্ত করোনা রোগী নারায়ণগঞ্জ থেকে কক্সবাজার এসেছেন। তিনি মৃত এজাহার আহমদের পুত্র আবুল কালাম (৫৫)। কক্সবাজার থেকে নারায়ণগঞ্জে মাছ নিয়ে সেখানে তিনি ব্যবসা করেন।

স্থানীয় সমাজকর্মী ও তার প্রতিবেশী মোহাম্মদ মুরাদ জানান, টেকপাড়ায় স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী ধরা পড়ার খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতংক বিরাজ করছে।

বুধবার ২২ এপ্রিল কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ৬৪ জনের স্যাম্পল টেস্টের মধ্যে আবুল কালামের স্যাম্পল টেস্টে করোনা ভাইরাস জীবাণু ধরা পড়ে।