প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
৮ ই মার্চ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালন করেছে হোপ ফাউন্ডেশনের ফর উইমেন এন্ড চিলড্রেন অব বাংলাদেশে । রামু চেইন্দস্থা হোপ হসপিটাল প্রাঙ্গণে নারী দিবসের নানা কর্মসূচী পালন করা হয়।

হোপ ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ড্রিরেক্টর কে এম জাহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে র‌্যাব ১৫ এর অধিনায়ক, উইং কমান্ডার আজিম আহম্মেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বডুয়া, এবং হোপ হাসপাতালের চীফ মেডিকেল অফিসার ডা.শহিদুল ইসলাম।

প্রধান অতিথি র‌্যাব ১৫ এর অধিনায়ক, উইং কমান্ডার আজিম আহম্মেদ বলেন হোপ ফাউন্ডেশন যে নারীদের নিয়ে ১৯৯৯ সাল থেকে কাজ করে আসছে তা সত্যিই প্রশংসনিয় এবং আমি তা জেনে খুবই আনন্দিত। হোপ ফাউন্ডেশন একটি নারী বান্ধব প্রতিষ্ঠান যা আমি আজকে এসে স্ব-চক্ষে দেখলাম এবং আমি আন্তর্জাতিক নারী দিবসের সর্বাঙ্গিক সফলতা কামনা করছি।

বিশেষ অতিথি রামু উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নোবেল কুমার বডুয়া বলেন, আজকে তিনি একজন সফল ডাক্তার হওয়ার পিছনে তার মায়ের অবদান অনস্বীকার্য। তিনি আরও বলেন একজন পুরুষের সফলতার পিছনে কোন কোন ভাবে একজন নারীর অবদান রয়েছে। সরকার সব সময় নারী উন্নয়ণ ও ক্ষমতায়ণে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।
চীফ মেডিকেল অফিসার ডা. শহিদুল ইসলাম বলেন হোপ ফাউন্ডেশনে বেশির ভাগই নারী কর্মী কাজ করেন। হোপ ফাউন্ডেশনকে নারী বান্ধব প্রতিষ্ঠান হিসেবে ধরে রাখতে যত ধরণের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়া দরকার হোপ ম্যানেজমেন্ট তা গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে।

অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে কান্ট্রি ড্রিরেক্টর কে এম জাহিদুজ্জামান বলেন হোপ ফাউন্ডেশন একটি নারী বান্ধব প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৯৯ সাল থেকে নারীদের নিয়ে কাজ করে আসছে এবং নারীর অধিকার অর্জনের লক্ষে নারী পুরুষ সম্মিলিত ভাবে কাজ করে যাবে। এছাড়াও তিনি নারীদের জন্য সরকারের নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ ও কাযক্রমের প্রশংসা করেন।

তাছাড়া নারী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন হোপ ফাউন্ডেশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার ইয়াসমিন আক্তার, ক্লিনিক্যাল কো- অর্ডিনেটর ডা. সাইমুন ফারহানা, কোর্স কো-অর্ডিনেটর মোছাম্মত সারমিন নেসা, সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. মাধুরী রায়, পেডিট্রেশিয়ান ডা. জিরনুন, মেটার্নিটি কর্নার ইনচার্জ রুনা দাশ,হাসপাতাল সুপারভাইজার কল্যানি চৌধুরী এবং স্টোর এ্যাসিস্টেন্ট আসমা খাতুন।

ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সের ছাত্রীরা এই দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক ও নারী অধিকার নিশ্চিত করতে ৪ টি নাটিকা কবিতা এবং একটি বিতক প্রতিযোগিতা আয়োজন করেন। উল্লেখ্য যে ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সটির ডেভেলপিং মিডওয়াইভস প্রজেক্টের আওতায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সার্বিক সহযোগিতায় ২০১২ সাল থেকে চট্টগ্রাম বিভাগে একমাত্র বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে হোপ একাডেমিক সাইট পরিচালিত হয়ে আসছে যার অর্থায়ন করছে ব্রিটিশ সরকার।
উক্ত অনুষ্ঠানটির সার্বিক সমন্নয় করেন হোপ ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর রাকিবুল হক এবং এডমিন এন্ড ফিন্যান্স অফিসার শামিম রেজা খান।

প্রসঙ্গত, হোপ ফাউন্ডেশনটি কক্সবাজারের কৃর্তি সন্তান ডা. ইফতিখার মাহমুদ মিনার ১৯৯৯ সালে দক্ষিণ মিঠাছড়ি চেইন্দা, রামু উপজেলায় প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ফাউন্ডেশটি মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য সেবায় নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।