ইমাম খাইর, সিবিএন:
সমুদ্র দেখার সখ-স্বপ্ন নিয়ে কক্সবাজার ঘুরতে আসে দেশীবিদেশী পর্যটকেরা। এ জন্য স্বল্পমূল্যের কটেজ থেকে শুরু করে পাঁচ তারকা মানের আবাসিক হোটেলও গড়ে উঠেছে এই নগরে। রয়েছে চাহিদা মতো খাবার রেস্তুরাঁও। এসবে ফিটফাট কক্সবাজার শহর। কিন্তু ভেতরে যে ‘সদরঘাট’ তা অনেকেরই অজানা। পর্যটন শহরের সড়ক ব্যবস্থা এতই নাজুক, তা বলার ভাষা নাই। ভ্রমণের এসে ‘বিরুপ মন্তব্য’ করে অনেক পর্যটক। -কথাগুলো সাগরপাড়ের চা-বিক্রেতা নজু মিয়ার।
তার দুঃখ, দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রচুর উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু কক্সবাজারের ‘শনির দশা’ কেন কাটছে না? এখানে কি কোন যোগ্য নেতা নাই? নাকি সরকারের বরাদ্দের অভাব? কোনটি বুঝে আসে না এই নগন্য সাধারণ মানুষটির।
সরিজমিন গিয়ে দেখা গেছে, পর্যটন শহর কক্সবাজারে (হাঙ্গরের ফোয়ারা) প্রবেশদ্বার কলাতলি রাস্তায় পায়খানার দুর্গন্ধযুক্ত পঁচাপানি জমে গেছে। এতে স্থানীয়দের ক্ষোভ ও কষ্টের কোন সীমা নাই। ভোগান্তিতে পড়েছে সী-বিচ মুখি পর্যটকরা। আশপাশের আবাসিক হোটেল থেকে পায়খানাযুক্ত ময়লা পানি ছড়িয়ে পড়ছে রাস্তায়। দিনের পর দিন এসব পানি থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। আশপাশের বিভিন্ন পর্যটন ব্যবসায়ী ও সী-বিচ মুখি পর্যটকদের জন্য দুর্গন্ধ এখন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এইসব ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত পানি গাড়ির চাকায় পিষ্ট হচ্ছে। বাতাসে দুর্গন্ধ আর জীবাণু এক হয়ে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। দেখার কেউ নেই।
স্থানীয় বাসিন্দা ও আদর্শ গ্রাম সমাজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ধান্দাবাজ নেতারা ফুটপাত ও ড্রেনের জমি দখল করে গাড়ীর পার্কিং ও দোকান নির্মাণ করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। ড্রেনের পানি চলছে জনগণের চলাচলে রাস্তা দিয়ে। সাদ্দামের দুঃখ, এভাবে আর কত? আসলে কি দেখার মতো কি কোন কর্তৃপক্ষ নাই?
কক্সবাজার শহরের প্রবেশ মুখে যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটকরা কক্সবাজার শহর সম্পর্কে ধারণা কি করবে?
এ জন্য কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র ও ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সমাজকর্মী সাদ্দাম হোসেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারী) বিকাল সোয়া ৫টার দিকে কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমানকে ফোন করলে বন্ধ পাওয়া যায়।