মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

মহেশখালী উপজেলার শাফলাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এডভোকেট আবদুল খালেক ৪২৩০ ভোট পেয়ে মাত্র ৪১ ভোটের ব্যবধানে আবারো বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। বিষয়টি শাফলাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও মহেশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুলকার নাঈম সিবিএন-কে নিশ্চিত করেছেন।

বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া আবদুল খালেকের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াতকলম প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী দিদারুল ইসলাম পেয়েছেন ৪১৮৯ ভোট। নৌকা ও দোয়াত কলম প্রতীকের মধ্যে প্রাপ্ত ভোটের ব্যবধান মাত্র ৪১ ভোট। সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এডভোকেট আবদুল খালেক এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচত হলেন। আনারস প্রতীক নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে থাকা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সালাউদ্দিন হেলালী কমল পেয়েছেন ৪০১৭ ভোট। সর্বমোট ভোট কাস্ট হয় ১৫২৮৩ টি, বৈধ ভোট পড়ে ১৪৮৩২ এবং বাতিল করা হয় ৪৫১ ভোট।

রিটার্নিং অফিসার ও মহেশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জুলকার নাঈম সিবিএন-কে আরো বলেন, বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত শাফলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচনে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। কঠোর নিরাপত্তায় বৃহস্পতিবার ১২ ডিসেম্বর সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ভোট গ্রহন করা হয়।

তিনি বলেন, ইউনিয়নের ৯ টি ভোট কেন্দ্রে ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। মহেশখালী উপজেলা চৌকি আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্বাস উদ্দিন বিচারিক হাকিম হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

একজন এএসপি’র নেতৃত্বে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ২ জন অফিসার সহ ৭/৮ জন করে পুলিশ নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলো। প্রতিটি কেন্দ্রে আনসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১৬/১৮ জন করে আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচনে বিজিবি ছিলো এক প্লাটুন। র‍্যাব মোতায়েন ছিলো এক টিম। স্ট্রাইকিং ফোর্স রাখা হয়েছিল ইউনিয়ন সদরে।

ফলে ঘটনা ছাড়া সামগ্রিকভাবে শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ভোট গ্রহন বৃহস্পতিবার সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরাপদ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় বলে কক্সবাজার জেলা নির্বাচন অফিসার এস.এম সাহাদাত হোসেন সিবিএন-কে জানিয়েছেন।

রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ জুলকার নাঈম সিবিএন-কে আরো জানান, শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন প্রার্থী ছিলেন। আর ১২ টি মেম্বার পদে ৭০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে যাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন , তারা হলেন-(১) আবদুল খালেক (নির্বাচিত) (২) দিদারুল ইসলাম (নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী) (৩) সালাহ উদ্দিন হেলালী কমল (তৃতীয় অবস্থান) (৪) নুরুল হক-(ব্যাটারী) ১৩০৫ ভোট (৫) মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম চৌধুরী (অটোরিকশা) ৬৩৩ ভোট (পঞ্চম অবস্থান) (৬) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম-(মটর সাইকেল) ১৬২ ভোট (৬ষ্ট অবস্থান) (৭) এডভোকেট এ.কে.এম ইলিয়াস (টাইপ রাইটার) ৬৫ ভোট (৭ম অবস্থান) (৮) ওসমান সরওয়ার (রেডিও) ৫০ ভোট (৮ম অবস্থান) (৯) আবদুল গফুর (গিটার) ৪০ ভোট নবম অবস্থান (১০) গিয়াস উদ্দিন সিকদার (টেলিফোন) ৩৪ ভোট (দশম অবস্থান) (১১) বদর উদ্দিন (টেবিল ফ্যান) ৩৩ ভোট (এগারতম অবস্থান) (১২) মনির আহমদ (কাপ পিরিচ) ২৯ ভোট (বাররতম অবস্থান) (১৩) নুরুল হুদা (রজনীগন্ধা) ১৮ ভোট (তেরতম অবস্থান) (১৪) মোঃ আলম (দুটি পাতা) ১৬ ভোট (চৌদ্দতম অবস্থান) (১৫) মোহাম্মদ শাহজাহান ফারুকী (চশমা) ৯ ভোট (পনরতম অবস্থান) এবং (১৬) সোহেল রানা (ঘোড়া) ২ ভোট (ষোলতম অবস্থান)।

শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে মোট ১৯৫১৮ জন ভোটার রয়েছেন। তারমধ্যে, পুরুষ ভোটার ৯৮৫৬ জন, মহিলা ভোটার ৯৬৬২ জন। নির্বাচনে মোট ভোট কেন্দ্র ৯ ওয়ার্ডে ৯ টি, ভোট কক্ষ রয়েছে ৪৬ টি। জেলা শুধুমাত্র একটি ইউনিয়ন পরিষদের ভোট গ্রহন হওয়ায় কক্সবাজারবাসী সবার কৌতুহল বৃহস্পতিবারের শাপলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের দিকে।