মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সীম স্থানীয় জনগোষ্ঠীর নামে নিবন্ধিত। একজন স্থানীয় লোক ১০/১২ টি পর্যন্ত সীম নিবন্ধন করে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের কাছে সেগুলো বিক্রি করেছে। কোন কোন ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের সাথে সম্পর্কের কারণে স্থানীয়রা নিজেদের নামে সীম নিবন্ধন করে ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সরবরাহ দিয়েছে। রোহিঙ্গা শরনার্থীরা নিজেরা প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের অভাবে খুব একটা সীম নিবন্ধন করে নিতে পারেনি। রোববার ৮ আগস্ট কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শহীদ এটিএম জাফর আলম সিএসপি সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় উখিয়ার ইউএনও নিকারুজ্জামান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, রোহিঙ্গা শরনার্থীরা খুব একটা সীম নিবন্ধন করেনি। এখন রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প গুলোতে যে মোবাইল ফোন গুলো ব্যবহার হচ্ছে, তা ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। নতুন সীম বিক্রির বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। সীম ও মোবাইল বিক্রয়কারী, মোবাইল অপারেটরের প্রতিনিধিদের সাথে ইতিমধ্যে কয়েক দফায় কথা হয়েছে বলে জানান ইউএনও নিকারুজ্জামান। তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প গুলোতে চাইলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক বন্ধ করা যাবে। কিন্তু তাতে স্থানীয় জনগোষ্ঠী চরম দূর্ভোগের শিকার হবেন। রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পে নেটওয়ার্ক কমিয়ে আনার বিষয়ে একটি মোবাইল অপারেটর কোম্পানির একজন উর্ধ্বতন কর্মকতা সিবিএন-কে বলেন, বিটিআরসির নির্দেশনা মোতাবেক আমরা এখন দিনের বেলায় শুধুমাত্র টু জি সার্ভিস দিয়ে থাকি। রাতের বেলায় থ্রী জি অথবা ফোর জি সার্ভিস দিলেও সেটা সর্বত্র নয়। ফলে রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প এরিয়ায় এখন নেট খুব একটা স্পীডে চলেনা। আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় অন্যান্যের মধ্যে কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাঃ শাজাহান আলি, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, সিভিল সার্জন মোহাম্মদ আবদুল মতিন, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ শাহজাহান, জেলা জাসদের সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল, কক্সবাজারের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, ইউএনও বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।