মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

রোহিঙ্গা শরনার্থীদের কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে টেকনাফ উপজেলার জাদিমুরা, শালবন, নয়াপাড়া, আলীখালী ও লেদায় আরো ৩ টি নতুন পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হবে। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে প্রাথমিক প্রক্রিয়া চুড়ান্ত হয়েছে। টেকনাফ মডেল থানার আওতাধীন কক্সবাজার জেলা পুলিশ সরাসরি এ ক্যাম্প গুলো নিয়ন্ত্রণ করবে। কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন সিবিএন-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গত ২২ আগস্ট যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা, রোহিঙ্গা শরনার্থীদের বিভিন্ন সন্ত্রাসী ও উস্কানিমূলক কর্মকান্ডের ফলে তাদের নিয়ন্ত্রণে এ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এজন্য বৃহস্পতিবার ২৯ আগস্ট ভারপ্রাপ্ত এসপি মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইনের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল টেকনাফ উপজেলার জাদিমুরা, শালবন, নয়াপাড়া, আলীখালী ও লেদা শরনার্থী ক্যাম্প এলাকা এবং যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যাকন্ডের স্থান পরিদর্শন করেন।পরিদর্শনকালে প্রতিনিধিদলের সদস্য শালবন ক্যাম্প ইনচার্জ মোহাম্মদ খালেদ হোসেন, ইউএনএইচসিআর-এর উর্ধ্বতন কর্মকতা ইফতেখার উদ্দিন বায়েজিদ, নিরাপত্তা কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন, টেকনাফ মডেল থানার ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহা উপস্থিত ছিলেন। ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন সিবিএন-কে জানান-কক্সবাজার জেলা পুলিশে নতুন ৩ টি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের জন্য লোকবল প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল হলেও গুরুত্ব বিবেচনায় প্রস্তাবিত পুলিশ ক্যাম্প ৩ টি দ্রুততম সময়ে স্থাপন করা হবে। প্রতিনিধিদল পরিদর্শনকালে রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প গুলো শক্ত ও টেকসই কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে দ্রুত ঘিরে ফেলার জন্য স্থানীয় জনগোষ্ঠী তাদেরকে অনুরোধ জানিয়েছেন।