পলাশ বড়ুয়া, উখিয়া ॥
অবশেষে উখিয়ায় সিএনজি ভাড়া নির্ধারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ নিয়ে মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। ইতিপূর্বে পূর্বের ভাড়া বহাল রাখার নির্দেশ দিলেও তা অমান্য করে অসাধু চালকরা। ফলে উপজেলা প্রশাসন একাধিকবার অভিযানও পরিচালনা করে।
২০ আগস্ট (মঙ্গলবার) দুপুর ১২টার দিকে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: নিকারুজ্জামান চৌধুরী ও সিএনজি সমিতির নেতৃবৃন্দের স্বাক্ষরিত একটি ভাড়া নির্ধারণের তালিকা প্রকাশ করা হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার ভুমি (উখিয়া) ফখরুল ইসলাম, ১নং জালিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আমিন চৌধুরী, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর উখিয়া উপজেলা সভাপতি নুর মোহাম্মদ সিকদার, উখিয়া উপজেলা অটোরিক্সা সিএনজি ও টেম্পো পরিবহণ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোকতার আহমদ চৌধুরী, সহ-সভাপতি ছৈয়দ হোছন, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আমিন শাকিল, সাংগঠনিক সম্পাদক- শাহজাহান প্রমুখ, শ্রমিক নেতা সরওয়ার কামাল পাশা।
এখন থেকে নির্ধারিত তালিকার বাইরে কেউ অতিরিক্ত ভাড়া দাবী করলে সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা প্রশাসনকে ফোন করে জানাতে বলেছেন ইউএনও নিকারুজ্জামান চৌধুরী। আইন অমান্যকারী চালকদের আইনের আওতায় আনা হবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে দীর্ঘদিন পর সিএনজি ভাড়া নির্ধারণ নিয়েও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে যাত্রী সাধারণের মাঝে। নতুন ভাড়া নির্ধারণ উপজেলার প্রশাসনের বিবেক প্রসূত কিনা এমনটাও প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।
আবু বক্কর ছিদ্দিক এক বলেছেন, বাহ! মচৎকার, সব জ্বালা সাধারণ জনগণের উপর ৭০ টাকার ভাড়া ৮৫ টাকা, দুঃখ জনক সিদ্ধান্ত, সব অনিয়ম উখিয়া যাতায়াতে স্থানীয় জনগণের প্রতি, তেলের দাম যত কমে উখিয়া যাতায়াত এ ভাড়া বাড়তে থাকে !
সুজন বড়–য়া বলেন, অবৈধ ভাড়া কে বৈধ করা হল। সাধারণ জনগনকে বাঁশ দেওয়া হল। সী-লাইনে ভাড়া কোটবাজার পর্যন্ত ৪৫ টাকা করার দাবী জানাচ্ছি।
সাইফুদ্দিন মুন্না নামে একজন বলেন, ভাড়া বেশি হয়ে গেল। এখন পথে পথে গ্যাস পাওয়া যায়। আগে একরাত অপেক্ষা করে গ্যাস পেত তখন ভাড়া ছিল ৬০ টাকা মরিচ্যা-কক্সবাজার। আর এখন সব ইজি হওয়া সত্ত্বেও ৫ টাকা বেশি হল।
এডভোকেট দীপন বড়–য়া বলেছেন, ফাইনালি ভাড়া বৃদ্ধি করেই ছাড়ল।
আবার কেউ কেউ বলছেন, ৫ কি:মি’র দূরত্বের কিছু জায়গার ভাড়া নির্ধারণ করা হয়নি। এই কারণে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তৎমধ্যে- কোটবাজার টু মরিচ্যা, মরিচ্যা টু পাতাবাড়ী, সোনারপাড়া টু ইনানীর ভাড়া উল্লেখ করা হয়নি।
অপরদিকে কোটবাজার থেকে সোনারপাড়ার রাস্তার দূরত্বও ৫ কি:মি:। রাস্তার মানও ভালো। অথচ ভাড়া নির্ধারণ হয়েছে ১২ টাকা। বাড়তি ২ টাকা নিয়ে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হবে বলে মনে করছেন চালক ও যাত্রীরা।
গণমাধ্যমকর্মী জসিম আজাদ বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানুষের যে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তাতে স্পষ্ট উপজেলা প্রশাসনের নির্ধারিত ভাড়া নিয়ে সাধারণ মানুষ সন্তোষ্ট নয়। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি পূন: বিবেচনার অনুরোধ জানান।