মোস্তফা কামালঃ
চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালীতে ইয়াবা ব্যবসার জের ধরে সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীরা গভীর রাতে বসত ঘরে হামলা দিয়ে এক নিরীহ গৃহবধুকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে।
আহত নারীকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
গত শনিবার (২৭ জুলাই) রাত ১১ টার দিকে উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ ছাইরাখালী গ্রামে ঘটেছে এ হামলার ঘটনা। হামলায় আহত গৃহবধু সেলিনা আক্তার (৩২) ওই এলাকার গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী বলে জানা যায়। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে অভিযুক্ত ৬ জনের বিরুদ্ধে চকরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। এতে আসামী করা হয় একই এলাকার মৃত আহামদ হোসেনের পুত্র জহির আহামদ (৫৫), জহির আহামদের পুত্র মহিম উদ্দিন (২৮), আবছার উদ্দিন (২৩), জসিম উদ্দিন (৩০), আনসার উদ্দিন (২৪) ও মহিম উদ্দিনের স্ত্রী তাসমিন আক্তার (২১) কে। থানায় দায়ের কৃত বাদীর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দিন মামলার ৩ নং আসামী চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায় আনসার উদ্দিন এলাকায় খুচরা ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রি শেষে রাতে বাড়ি ফেরার পথে তার সাথে স্থানীয় কয়েকজন যুবকদের মধ্যে ইয়াবা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। তাদের এই ঘটনায় গৃহবধু সেলিনা জড়িত থাকার সন্দেহে অভিযুক্ত আনসার উদ্দিন তার বাব ভাইদের সঙ্গে নিয়ে সশস্ত্র লাঠিসোটায় সজ্জিত হয়ে গভীর রাতে গৃহবধুর বসত ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। এসময় বাড়িতে গৃহবধুর স্বামী না থাকায় সন্ত্রাসীরা তাকে ব্যাপক মারধর ও গলায় ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এসময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।
এঘটনায় জানতে চাই চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, গৃহবধুকে মারধরের ঘটনায় ভিক্টিম সেলিনা আক্তার বাদী হয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে। তদন্ত করে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে থানায় দায়ের কৃত মামলা তুলে নিতে অভিযুক্তরা বাদীকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাদীর স্বামী গিয়াস উদ্দিন। এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার থানা পুলিশ সহ সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।