চকরিয়া প্রতিনিধি:

চকরিয়ার পূর্বকোনাখালীতে এক প্রবাসী পরিবার থেকে দাবীকৃত চাঁদা আদায় করতে না পেরে কুতুব উদ্দীন নামের এক প্রবাসীকে বাড়ি থেকে তুলে নেয়ার চেষ্টা করেছে আপন ভাই তাদের লালিত লোকজন। ১২ মে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগ মতে, চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড সিকদার পাড়া এলাকার মরহুম আবুল হোসেন সওদাগরের বিদেশ ফেরত পুত্র মো.কুতুব উদ্দিন তার পৈত্রিক প্রাপ্ত বসতভিটায় স্ত্রী-ও ছেলে-মেয়ে নিয়ে বসবাস করছে। কিন্তু তার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিল তার আপন দুই ভাই কফিল উদ্দিন ও কাজেম উদ্দিন টিটু। অন্যথায় বাড়ী ছাড়াসসহ নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল ততার্। এমনকি গত ৩ এপ্রিল কফিল উদ্দিন , কাজেম উদ্দিন টিটু ও মইন উদ্দিন ও ত্দের লোকজন কুতুব উদ্দিন বাড়ী ফেরার পথে কোণাখালী দাখিল মাদ্রাসা ষ্টেশনে ম হামলা চালিয়েছিল।
এ ঘটনায় চকরিয়া থানায় অভিযোগ দেওয়া আছে। এটা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।

তারপর ১২ মে কাজেম উদ্দিন টিটু, কফিল উদ্দিন ও তাদের আত্মীয় মৃত আব্দু রশিদের পুত্র জয়নাল আবেদীন, বশির আহমদের পুত্র ইউনুচ,আব্দুল্লাহর পুত্র রোকন উদ্দিন ও মৃত জসিম উদ্দিনের পুত্র রুবেলসহ সংঘবদ্ধ লোকজন বাড়ি থেকে কুতুব উদ্দিনকে উঠিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ঘটনাটি তাৎক্ষনিক পুলিশ ও সাংবাদিকেরা জেনে যাওয়ায় হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এসময় কুতুব উদ্দীনের বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর করা হয়।
।কুতুব উদ্দিনের স্ত্রী আজবাহার বেগম জানান হামলাকারীরা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং তার শ্লীলতাহানির অপচেষ্টা করেছে।

কুতুব উদ্দিন অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা তাকে বলেন, তারা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদারের নির্দেশে কুতুবকে তুলে নেয়ার জন্য এসেছিল।
তিনি আরো বলেন, চেয়ারম্যানের নির্দেশেই এসব হচ্ছে। এমনকি চেয়ারম্যান একাধিকবার আমাকে হুমকি দিয়ে সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করছে। বিষয়টি সাংসদ আলহাজ্ব জাফর আলম মহোদয়কে অবগত করি। তিনি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদারকে এ ধরনের অন্যায় কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্থতি চলছে বলে জানা গেছে।