সংবাদদাতা:
অবশেষে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে পর্যটন নগরীর হোটেল মোটের জোনের অপরাধ জগতের রাজা হিসেবে চিহ্নিত শহিদ প্রকাশ বার্মাইয়া শহিদ।
মঙ্গলবার (৩০এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নিজের পরিচালনাধীন লাইট হাউজ নিউ বিএম রিসোর্ট থেকে পুলিশের এক বিশেষে অভিযানে তাকে আটক করা হয়। ওই কটেজটি হোটেল মোটেল জোনের চিহ্নিত পতিতা সরবরাহকেন্দ্র বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে। যেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অনেকবার পতিতা-খদ্দের আটক করে। জনতার হাতেও ধরা পড়ে অনেক অপরাধী।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কটেজ জোনের ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের কয়েকজন জানায়,প্রায় ঘন্টা ব্যাপি অভিযান চালিয়ে নারীসহ তাকে আটক করে পুলিশ। তবে তার সঙ্গে ইয়াবা পাওয়া গেছে কিনা তা কেউ জানাতে পারেননি।
শহিদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ইয়াবা ব্যবসা ও পর্যটকদের ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে অসাধু পুলিশ অফিসার দিয়ে প্রতিদিন লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগ দীর্ঘদিনের।এ ছাড়াও পর্যটন নগরীর প্রতিটি কটেজ হোটেল ও ফ্ল্যাট গুলোতে এ ইয়াবাডনই ইয়াবা সাপ্লাই করেন বলে অভিযোগ খোদ হোটেল ও কটেজ ব্যবসায়ীদের। তবে শহিদের সঙ্গে থানা পুলিশের দহরমমহরম সম্পর্কের কারনে মুখ খোলার সাহস নেই কারোই।
অতিতে যারাই এ ইয়াবা কারবারির বিরুদ্ধে বলেছেন, তাদেরকে অজানা কারনের কয়েকদিনের ব্যবধানে কোন না কোন কারনে জেলে যেতে হয়ছে বলে জনশ্রুতি আছে পর্যটন শহরে।
ইয়াবা ব্যবসায়ী শহিদকে রিমান্ডে নিয়ে জিঙ্গেসাবাদ করলে তার ইয়াব আস্তানা থেকে লাখ লাখ ইয়াবা উদ্ধার হতে পারে।বের হওয়ার সম্ভাবনা অজানা আরো লোমহর্ষক কাহিনী।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ খায়রুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে তিনি তাৎক্ষণিক তথ্য দেননি। এব, পরে জানানো হবে বলে জানান।
উল্লেখ্য, গত কয়েকমাস আগে শহিদের ইয়াবা বাণিজ্য, পর্যটকদের জিম্মি করে টাকা আদায়ের খবর পত্রপত্রিকায় নিয়মিত ছাপা হলে শহিদ হোটেল ছেড়ে পালিয়ে যায়। তবে সময় সুযোগে আবার সে শার্মিন রিসোর্টে ফিরেন আসেন শহিদ। সে সঙ্গে দুর্নাম মুছাইত রিসোর্টের নাম পরির্বতন করে রাখেন নিউ বিএম রিসোর্ট। ফিরে এসে আবারো প্রকাশ্যে ইয়াবা ব্যবাসা শুরু করলে স্থানীয়রা বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করেন।এর সূত্র ধরে তাকে আটক করা হয় বলে ধরনা করা হচ্ছে।