বিশেষ সংবাদদাতা :
কক্সবাজার রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল বলেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার, জনবান্ধব শিক্ষাবান্ধব ও উন্নয়নবান্ধব সরকার। তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলাদেশে অভূপূর্ব উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতেও সরকার তিন হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে।
তিনি বলেন, একে আজাদ উচ্চ বিদ্যালয় রামুর একটি অবহেলিত
এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। যুবক আবুল কালাম আজাদ এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করে সমাজে অনন্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ সহ এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে যারা যে ভাবে জড়িত আছেন সবাইকে ধন্যবাদ জানান। গতকাল ২৭ এপ্রিল শনিবার দুপুরে এ কে আজাদ উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে
বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ্ব সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি এ কথা বলেন।
এ কে আজাদ উচ্চ বিদ্যালয় এর প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে
বক্তব্য রাখেন, কক্সবাজারের অন্যতম বৃহৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্যাথিং অং, দি ডেইলি স্টারের সাংবাদিক ও কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী জিন্নাত, দৈনিক ইনকিলাবের বিশেষ সংবাদদাতা সাংবাদিক শামসুল হক শারেক, বিশিষ্ট আইনজীবী ও আওয়ামী লীগ নেতা একরামুল হুদা, রামু উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নীতিশ বড়ুয়া।

উপস্থিত ছিলেন, সমাজসেবক মোহাম্মদ মোস্তফা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুনির আহমদ, শিক্ষক মমতাজ উদ্দিন, মাওলানা আমানুল্লাহ ও ফকির আলমগীরসহ স্থানীয় সমাজসেবক ও অভিভাবকবৃন্দ।

এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল আরো বলেন এ কে আজাদ উচ্চ বিদ্যালয় যুবক আবুল কালাম আজাদ প্রতিষ্ঠা করলেও এটি লালন করার দায়িত্ব এখন আমাদের সকলের। তিনি বলেন,যে বা যারা স্কুলের সম্পদ নিয়ে জমি নিয়ে টানাটানি করছেন তাদের নিজেদের জমিও একদিন হারিয়ে যাবে বুঝতেই পারবেন না। এছাড়া অন্যায় ভাবে স্কুলের জমি নিয়ে টানাটানি করলে তাদের শাস্তি পেতে হবে।

এমপি কমল বলেন, এ কে আজাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের অসংখ্য সমস্যার কথা তিনি শুনেছেন। বিশেষ করে বিদ্যালয়ের ভবন এর অভাব বিদ্যালয়ের টি এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি। এছাড়া শিক্ষার্থীদের আসা যাওয়ার সমস্যা এবং বিদ্যালয়ের কাঁচা রাস্তার কারণে বর্ষা মৌসুমে
শিক্ষার্থীদের অনেক কষ্ট হয়, এছাড়াও গরমে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে নানা ধরনের সমস্যার কারণে পড়ালেখার ব্যাঘাত হচ্ছে। এসব সমস্যার খুব দ্রুত সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

কক্সবাজার সিটি কলেজের অধ্যক্ষ ক্যাথিং অং বলেন, একে আজাদ উচ্চ বিদ্যালয় একটি সম্ভাবনাময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। চাইল্যাতলীর মত অনগ্রসর এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করে একে আজাদ একটি অনন্য কাজ করেছেন। এখন এই প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন অগ্রতির জন্য যা যা করা দরকার সব ধরনের সহযোগিতা দিতে তিন প্রস্তুুত বলে জানান।

সাংবাদিক মুহাম্মদ আলী জিন্নাত বলেন, একে আজাদ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করলেও এটি এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব এখন আমাদের সকলের। তিনি বলেন, এখন থেকে এই বিদ্যালয়টি এমপি সাহেবের নিজের বিদ্যালয় হিসেবে মনে করে এর সকল সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবেন বলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কামনা করছেন।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা একে আজাদ বলেন, নিজের টাকা করচ করে গত আট বছর ধরে তিলে তিলে এই বিদ্যালয় গড়ে তোলেছেন এবং চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। বিদ্যালয়টি শী এমপিওভূক্ত না হলে তিনি হতাশ হয়ে পড়তে পরেন তিনি। এই বিদ্যালয়ের জন্য জমি ক্রয় করে অন্যভাবে কারাগারে যেতে হয়েছে তাকে।
তিনি বলেন, গত আট বছরে প্রায় কোটি টাকা খরচ হয়েছে এই বিদ্যালয়ে। এই টাকা দিয়ে তিন ব্যবসা করতে পারতেন। তা না করে তিনি স্কুল পরিচালনা করছেন।

উল্লেখ্য ২০১১ সালে রামু উপজেলার মিঠাছরি ইউনিয়নের চাইল্ল্যাতলী এলাকায় যুবক আবুল কালাম আজাদ তাঁর নিজের নামে ‘ একে আজাদ উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন।