পেকুয়া প্রতিনিধি :

পেকুয়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বদিউল আলম নামের এক মুক্তিযোদ্ধার ছেলেকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা চলিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

২৫ এপ্রিল দিনগত রাত ১টার দিকে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের বামুলা পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় বদিউল আলমকে উদ্ধার করতে গিয়ে তার দুই ভাতিজি জোছনা আক্তার (২৫) ও আমিনা বেগম (২৯) হামলার শিকার হয়। পরে এলাকাবাসীদের সহযোগিতায় পরিবারের সদস্যরা আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে। আহতদের পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহত বদিউল আলম একই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত গোলাম নবীর ছেলে এবং পেশায় লবণ ব্যবসায়ী, জোসনা আক্তার ও আমিনা বেগম শফিউল আলমের মেয়ে।

আহত বদিউল আলমের ভাই শফিউল আলম বলেন, আমাদের পৈত্রিক সূত্রে মালিকানাধীন ৩৪ শতক জমি দীর্ঘদিন ধরে জবরদখল করে রাখে একই এলাকার মৃত সেকান্দর আলীর ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ জাবের। জমিটি ফেরত চাইলে সে বিভিন্নভাবে আমাদের হুমকি দিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিতায় বুধবার গভীর রাতে পরিকল্পিত ভাবে আমার ভাই বদিউল আলমের বাড়ীর টিনের ছালায় ঢিল ছুড়ে তাকে ঘর থেকে বের করে হত্যাচেষ্টা চালানো হয়। কে ঢিল ছুড়েছে তা দেখতে ঘর থেকে বের হওয়া মাত্র ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে উপর্যুপরি কোপানো হয়। আমার ভাই বদিউল আলমকে হামলাকারীরা টেনেহিছড়ে বামুলা পাড়া রাস্তায় নিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এসময় তার চিৎকার শুনে পাশের ঘর থেকে আমার দুই মেয়ে চাচাকে বাঁচাতে বের হলে তাদেরকেও কুপিয়ে এবং পিটিয়ে জখম করা হয়। একই এলাকার মৃত বদ আহমদের ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও বহু মামলার আসামী আনছার বাহিনীর প্রধান আনছার উদ্দিন, মৃত বজল আহমদের ছেলে কাছিম আলী, মৃত আবু তাহেরের ছেলে মোঃ আক্তার ও মৃত সেকান্দর আলীর ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ জাবেরের নেতৃত্বে ৮-৯জন দুর্বৃত্ত দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে এ হামলা চালায়। তবে এ ঘটনার ২০ঘণ্টা পেরিয়ে গেলে জড়িতদের আটক করতে পারেনি পুলিশ।

এব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, ভুক্তভোগীর পক্ষে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।