–  মানিক বৈরাগী

স্থানিয় সরকার পরিষদে উপজেলা নির্বচন নিয়ে একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসাবে সচেতন থাকলেও ব্যক্তিগত ভাবে কোন প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে কোন মতামত ব্যক্ত করিনি। তবে হ্যা সামগ্রিক উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে একটি কলাম লিখেছিলাম। এই কলামে আমি আমার রাজনৈতিক দর্শন তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্রই।
আমি বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ এর একজন রাজনৈতিক দর্শন সচেতন কর্মী ও সাথে সাহিত্য সাংস্কৃতিক কর্ম করি।
আমার পাঠক পাঠিকারা আমাকে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করার পুর্বে এই কৈফিয়ত দিতে চাই আজ কেন শুধু একজন প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিচ্ছি।এত দিন কেন নি নাই।এখন এই প্রার্থীর কাছে আমার এমন কি চাওয়া পাওয়া রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত ভাবে।এমন কি মধু আছে এমন সব প্রশ্নবাণে আমি জর্জরিত হওয়ার পূর্বে কৈফিয়ত এর উত্তর খোজে পাবেন এ লেখায়।
বিগত ফখরুদ্দিন-মঈন উদ্দিন সামরিক প্রভাবিত সরকারের পর থেকে আওয়ামিলীগ একটানা ক্ষমতাসীন।
বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ উদারনৈতিক বুর্জোয়া গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসাবে যেমন রাজনৈতিক দর্শনগত কুফল আছে তেমনি সুফলের পাল্লা টুকু অধিক।বিগত সময়ে আমি ব্যক্তিগত ভাবে আওয়ামিলীগ নেতা ও তাদের কার্যকলাপের অধিক সমালোচনা লিখেছি অনেক কলামে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, তেমন অপরাপর রাজনৈতিক দল নিয়ে খুবই কম লিখেছি।
এর ব্যাখ্যা হচ্ছে আওয়ামিলীগ ও সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা বেশি তাই।আওয়ামিলীগ নেতাদের ত্রুটি ও অপরাধ গুলো মানুষের চোখে পড়ে বেশি। কারন মানুষ আওয়ামিলীগ ও দেশরত্ন শেখ হাসিনা কে বিশ্বাসের আয়নায় দেখতে চায়।বিশ্বাসের আয়না টি থাকুক দাগ মুক্ত।
বিশ্বাসের আয়নায় ক্ণা পরিমাণও দাগ লাগে তা বড় আকারে চোখে পড়ে।এসব নিরখে আমার প্রত্যাশা ও সেই সব জনগণের মতো।এতে বিন্দু পরিমাণ দাগে আয়না টি কলঙ্কিত হলে নিজেকেই কলঙ্কিত মনে হয়।
আবার আপনারা এও প্রশ্ন করতে পারেন এত দিন আওয়ামিলীগ নেতাদের সমালোচনা চনা করে অনেকের বারোটা বাজিয়েছেন, এখন কেন এই ছোট ছেলের পক্ষ নিলেন।বেচা বিক্রি হয়ে গেলেন নাকি?
অনেক প্রার্থী ও প্রার্থীর লোকজন আমাকে অনুরোধ ও উপহারের প্রলোভনেও কারো পক্ষ নেইনাই,এখন কেন নিচ্ছি এসব।
এবার আসুন কেন জুয়েলের জয় চাই।
প্রথম কৈফিয়ত হলো কক্সবাজারের প্রায় উপজেলার নৌকার প্রার্থী আমার রাজনৈতিক দর্শন বিচার ও বিশ্লেষণে পছন্দ হয়নি। কেন হয়নি তার কৈফিয়ত অন্য কোন সময়ে দিব।এখন কেন জুয়েল কে চাই তার কৈফিয়ত দিতে চাই।
কক্সবাজার সদর উপজেলা কক্সবাজার জেলার অন্যতম গুরুত্ব পূর্ণ উপজেলা। কক্সবাজার জেলা এমনিতেই বিএনপি জামাত কবলিত অঞ্চল হিসাবে প্রচারিত। এর মধ্যে সদর উপজেলা আরো বেশি।
আর আওয়ামিলীগ এ দলিয় কোন্দল বিভাজনের কারনে বারে বারে এখানে জামাত বিএনপি তার উপযুক্ত ব্যবহার করেছে।সেই ৭০এর নির্বাচন থেকে।
আওয়ামিলীগ এ এমনও অনেক নেতা আছে বা উপদল বিরাজমান ছিল নিজে যদি মনোনয়ন না পায় তবে আওয়ামিলীগ এর অন্য কাউকে হতে দিব না।এমন মানসিকতার লোক বুদ্ধির বিকাশকাল থেকেই দেখে আসছি।এই সদর উপজেলায় কোন কালেই আওয়ামিলীগ বিজয়ী হতে পারেনি এসব কারনে।প্রতিবারেই হয়ত জাতিয় পার্টি না হয় জামাতই জিতেছে।
এসব কারনে কক্সবাজার সদর উপজেলায় অন্তত একবার আওয়ামিলীগ ও নৌকার বিজয় দরকার।
বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা কক্সবাজার জেলা কে নিয়ে তার অনেক স্বপ্ন ও ভালোবাসা আবেগ জড়িত।তিনি এ জেলায় যে পরিমাণ উন্নয়ন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কর্ম করে চলেছেন তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বরুপ কক্সবাজারবাসী ও আওয়ামিলীগ এর সকল নেতা কর্মীর উচিত অন্তত একবার নৌকা কে বিজয়ী করা।
আমি দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও তার প্রতি কৃতজ্ঞতার নিদর্শন সম্মান রেখে জুয়েলের নৌকা মার্কার প্রতি ব্যাক্তিগত ভাবে ও রাজনৈতিক অবস্থান থেকে জুয়েলের জয় চাই। শুধু এসব কারনে নয় অপরাপর প্রার্থীর রাজনৈতিক, সামাজিক,আদর্শিক,ব্যাক্তিগত নৈতিকতা বিবেচনা করে জুয়েলের পক্ষে লিখতে বাধ্য হয়েছি। কক্সবাজার সদর উপজেলায় মুলত যে ক’জন ব্যক্তি এখনো নির্বাচনে সক্রিয় আছে তার মধ্যে তাদের মধ্যে জুয়েল থেকে অধিক বা নুন্যতম ব্যাক্তিগত ভাবে নৈতিক, চারিত্রিক, আদর্শিক প্রার্থী যদি আওয়ামিলীগ বা বিদ্রোহী প্রার্থী বা অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী কে খোজে পেতাম তখনও নিরব থাকতাম অন্তত। কারন পূর্বের নির্বাচনে যেমন নিরব ছিলাম। কিন্তু জুয়েলের অধিক বা নুন্যতম কোন প্রার্থী এই মুহূর্তে নাই।
তো প্রশ্ন হচ্ছে কে এই জুয়েল?
তার নাম -এ কে এম কায়সারুল হক জুয়েল
পিতা -এ কে এম মুজাম্মেল হক
জ’দানি বাপের মুজাম্মেল হকের কনিষ্ঠ পুত্র জুয়েল।
তো কক্সবাজার সদর উপজেলার সকল প্রবিণ ময় মুরুব্বি এই পরিবার সম্পর্কে ওয়াকিব হাল।নতুন করে পরিচয় দেয়ার কিছু নাই।

এবার আসি কে এই মোজাম্মেল হক?
বীর মুক্তিযোদ্ধা একে এম মোজাম্মেল হক কক্সবাজার তথা বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ এর আস্থা বিশ্বাসের বাতিঘর। এই ঘরের নাম হক-শন,কক্সবাজারের মুক্তিপাগল মানুষের ৩২নাম্বার হিসাবে পরিচিত।
আমি এ লেখায় আজ ওসব কিছুই লিখব না,এটি আমার দায়িত্বও নয়।এসব লিখবে আওয়ামিলীগ এর মধু খাওয়া নেতাদের।
আমি একটি বিষয় ধরে আজ এই লেখার ইতি টানতে চাই।
একেএম মোজাম্মেল হক স্বাধীন বাংলাদেশের কক্সবাজার পৌরসভার প্রথম নির্বাচিত পৌর চেয়ারম্যান। তখোন মেয়র পদবি ছিল না।মোজাম্মেল হক যতদিন পৌর চেয়ারম্যান ছিলেন এই শতবর্ষী পৌরসভার কোন উন্নয়ন ও আর্থসামাজিক কাজে কোন দুর্নীতি ছিল না।
৭৫র পর জিয়ার সামরিক শাসনামলে মেজর জিয়া মোজাম্মেল সাহেব কে বিএনপিতে যোগদান করাতে না পেরে ব্যার্থতার প্রতিশোধ নিতে যে অপকর্ম করেছে তা আজ অনেকেই জানেনা।
সেই কথা লেখার আগে আরো একটি বিষয় উল্লেখ করলে নয়
তা হলো স্বাধীনতার পর আওয়ামিলীগ এর মধু খাওয়া অনেক সুশিক্ষিত বিশাল বিশাল নেতারা দলে দলে আদর্শের সাথে বেইমানী করে বিএনপিতে ভেড়েন। অনেকেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বাইরে চলে যান।তখন কিছু মুক্তিযোদ্ধা ও ছাত্রনেতা কে নিয়ে একেএম মোজাম্মেল হক রাজনৈতিক দৃঢতার সাথে আওয়ামিলীগ কে আঁকড়ে রাখেন।সেই সময় যেসব বড় বড় নেতারা বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামিলীগ এর সাথে বেইমানি করে তারা সকলেই মোজাম্মেল হকের অধিক শিক্ষিত মেধাবী, কথার কুশলী। তাদের তুলনাই মোজাম্মেল হক মেট্রিকুলেশন পরিক্ষাও দেয়নি।
মোজাম্মেল সাহেব পরিবারের দায়িত্বভার গ্রহন করার জন্য নৌবাহিনী তে যোগদেন।অসহযোগ আন্দোলনের পুর্বেই চাকুরী ছেড়ে দিয়ে ব্যবসা বাণিজ্যে মনোযোগী হন।
এবার আসি জিয়ার সামরিক শাসনের সময় জিয়া যখন জাগদল গঠন করেন তখন কক্সবাজার মহুকুমার নেতারা যখন নিজ উদ্যোগে জাগদল বা পরবর্তী বিএনপি তে যোগ দানের হিড়িক পড়ে মুজিবাদর্শের অনড় অটল পাহাড় মোজাম্মেল কে লোভ লালসা, ক্ষমতা তাঁকে টলাতে পারেনি।
জিয়া কক্সবাজার সার্কিট হাউজে এসে প্রথমে লোক মারফত খবর পাঠান জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্যে। তিনি কান না পেতে কাচারি পাহাড়ের পৌরসভায় নিয়মিতভাবে অফিস করতেন।একে জনপ্রশাসন ও আর্মির লোকজন পাঠিয়েও যখন মোজাম্মেল কে জিয়ার কাছে নিতে ব্যর্থ হলেন তখন জিয়া নিজেই মোজাম্মেল কে ফোন করেন তার সাথে দেখা করার জন্য।
তখন প্রথম উত্তরেই মোজাম্মেল সাহেব জিয়া কে বললেন তুমি আস আমার সাথে দেখা করতে।
জিয়া দুসেকেন্ড দেরি না করে খোলা ল্যান্ড ক্রো জার জিপ নিয়ে চলে এলেন মোজাম্মেল হক সাহেবের কাছে। এ হলো সেই মোজাম্মেল। এতেও জিয়া ব্যর্থ হলেন মোজাম্মেল কে তার দলে ভেড়াতে। পরে ক্ষিপ্ত হয়ে মোজাম্মেল এর দুর্নীতি খোজা শুরু।কাগজে পত্রে,ব্যাংকে কোথাও কোন দুর্নীতি না পেয়ে
মোজাম্মেলের বাড়ির রাস্তার ইট তুলে তুলে রাস্তা খোড়ে খানাকন্দ করে কিছুই রাখেনি।এতেও জিয়া ব্যার্থ হয়েছিলেন।
আজ আমি সেই মোজাম্মেল হকের কনিষ্ঠ সন্তান কায়সারুল হক জুয়েলের পক্ষে অবস্থান না নিলে আমার বিবেক অপবিত্র হয়ে যাবে।
কক্সবাজার পৌরসভা এর পর আর কোন দুর্নীতি মুক্ত চেয়ারম্যান -মেয়র এখনো পায়নি।

এবার আসা যাক জুয়েলের অপর নির্বাচনী প্রার্থী কারা কি তাদের নৈতিক পরিচয় কায়সারুল হক জুয়েলের বিপরীতে নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় ভাবে শক্তিশালী অবস্থানে আছেন কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ও সেলিম আকবর

প্রথমেই আসা যাক কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আবছার কি কেন কত প্রকার ও কি কি নুরুল আবছার কক্সবাজার সরকারি কলেজের একজন সাবেক ছাত্রনেতা সুবক্তা, পাঠক, সংঘটক,মুক্তিযোদ্ধা দাবিদার কয়েকবার নির্বাচিত কক্সবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান
রাজনৈতিক পরিচয় কি কি মুক্তিযুদ্ধের পুর্বে এনএসেফ মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী ছাত্রলীগ নেতা(মুজিববাদী) ছাত্রলীগ (শফিউল আলম প্রধান)এর কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি জাসদ নেতা জাতিয় পার্টি(জেলা সহ সভাপতি) ৪ বিএনপি বর্তমানে আওয়ামিলীগ (কার্যকরী সদস্যকক্সবাজার জেলা আওয়ামিলীগ)
সভাপতি কক্সবাজার রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এ হলো আবছার ভাইয়ের রাজনৈতিক পরিচয় ইতিবাচক দিকের মধ্যে তিনি খুব সহজেই কথার বাচনিক পদ্ধতিতে মানুষ কে মোহাবিষ্ট করতে পারেন বুদ্ধিমান, চালাক,ধুরন্দর এবার আসা যাক তার রাজনৈতিক, সামাজিক,আর্থিক অপরাধ
তিনি কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে প্রথম যাত্রা,সার্কাস, ভেরাইটি শো প্রদর্শনের উদ্যোগতা কক্সবাজার পৌরসভার প্রথম দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান
কক্সবাজার পৌরসভার স্থায়ী অস্থায়ী সম্পদ আত্মস্বার্থে অন্যায় ভাবে লিজ প্রদান কারী কক্সবাজার শহরে অতিতে যত খাল ছিল তা ছড়ায় পরিনত কারি
কক্সবাজার শহরে যত ছড়া ছিল তা নালায় পরিনত কারি যত নালা ছিল তা নর্দমা বানানোর উপযুক্ত চেয়ারম্যান সরস্বতী মন্দিরের পুকুর ও মাট অন্যায়ভাবে এস আলম কোম্পানির কাছে লিজ প্রদান করে কক্সবাজারের ঐতিয্য বিনষ্ট ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রতির প্রতি অবমাননা আল ফুয়াদ হাসপাতাল কে অন্যায় ভাবে পৌরসভার জমি লিজ প্রদানকারী

সাহিত্য একাডেমির নামে ব্যক্তি কে বাহার ছড়ায় গুরুত্বপূর্ণ জমি লিজ প্রদানকারী কক্সবাজার পৌর প্রিপ্রারটরি স্কুলের শিক্ষক কর্মচারীর ফান্ড তসরুপ সহ পৌরসভার কত মার্কেট হাটবাজার কতজন কে কত দুর্নীতি করেছে তার ইয়াত্তা নেই। এ রকম অনেক ফিরিস্তি দেয়া যাবে।
তাঁর সবচাইতে বড় অপরাধ হলো নিজে নির্বাচন করতে না পারায় কক্সবাজার পৌরসভা কে বহুদিন জনপ্রতিনিধিহীন করে রেখেছিলেন
সব মামলা মোকদ্দমার অবসান হলে নিযে যখন নির্বাচনে হেরে যাবেন ও আওয়ামিলীগ সমর্থন না পাচ্ছেন তখনি তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে পৌরসভা কে জামাতের আর এক দুর্নীতিবাজ কে মেয়র হতে সহযোগিতা করেন।
একি ভাবে এই সদর উপজেলায় ও বিগতবার আওয়ামিলীগ এর তৃণমূল ভোটের তোয়াক্কা না করে আওয়ামিলীগ কে অবজ্ঞা করে আওয়ামিলীগ প্রার্থীকে পরাজিত করার লক্ষে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে আওয়ামিলীগ প্রার্থী আবু তালেবের পরাজয় নিশ্চিত করে জামাতের হাতে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নিশ্চিত করেছেন।
এবারও তিনি একি পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন পুত্রতুল্য আওয়ামিলীগ প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান করে।

এবার আসাযাক অপর প্রার্থী সেলিম আকবর সেলিম আকবর রাজনৈতিক অঙ্গনে অপরিচিত মুখ তিনিও স্বতন্ত্র প্রার্থী দীর্গদিন বিদেশে কর্মজীবী শ্রমিক হিসাবে কাজ করেন।শ্রমিক হিসাবে তিনি আমার কাছে খুবই শ্রদ্ধেয়।কিন্তু তরুণ এই শ্রমিক বিদেশ থেকে অপর শ্রমিকের হক মেরে দিয়ে দেশে এসেছেন।
এখানেই আমার আপত্তি তিনি কিভাবে পারলেন নিজে পরিবহন শ্রমিক হয়ে অপর শ্রমিকের কষ্টার্জিত অর্থ আত্মসাৎ করতে। হটাৎ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া লোকের যে সব বৈশিষ্ট্য থাকে তার অনেক কিছু তার আছে। সে দেশে একটি শ্রমিক সংঘটন গড়ে তুলেছেন এটি তার রাজনৈতিক মিশনের অংশ হলেও প্রথমে খুব প্রভাব বিস্তার করে ধীর ধীরে অনাদর্শিক সংঘটক ও সংঘটনের যা হয় তা বর্তমানে বিরাজমান এবং তার যৌননৈতিকতা নিয়েও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। তো উপর্যুক্ত প্রার্থীর গুণ ও নৈতিকতা বিবেচনায় আমার কাছে কায়সারুল হক জুয়েল সবার কাছে গ্রহণ যোগ্যতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একটি প্রবাদ আছে বাপ দেখে বেটা বিচার করো চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বলে বাপ চা পুত চা
এই প্রবাদের বৈজ্ঞানিক কার্যকারিতা আছে। বিজ্ঞানে জ্যানেটিক্যাল সাইন্সের মতে রক্তের মধ্যে যদি শুদ্ধতা না থাকে সে যতবড় শিক্ষিত হোক সে অপরাধ,দুর্নীতিতে জড়াবেই।
এর একটি উদাহরণ দিতে চাই আমি নিয়মিত যে দোকান থেকে চা সিগারেট বাকিতে খাই তার নাম খোরশেদ
তার বাড়ি সাতকানিয়া উপজেলায়।আওয়ামিলীগ কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনের বাড়ীর প্রতিবেশী। একি পাড়ার লোক।সাতকানিয়ার লোক হলেও আমিন ভাইয়ের কারনে আওয়ামিলীগ সমর্থক। তার ভাষ্যমতে তার দোকানে অনেক নেতা কর্মী পান সিগারেট খেয়ে মনের ভুলে টাকা না দিয়ে চলে গেছে।আমার মতো যারা নিয়মিত বাকি করতো পদ হারানোর পর অনেকেই ধার বাকিও পরিশোধ করেনি।
একদিন কায়সারুল হক জুয়েল হটাত তার দোকানের সামনের উঠানে নেতা কর্মী সহ কি কারনে অনেকক্ষণ দাঁড়ায়। এমন সময় জুয়েলের চা পান করতে ইচ্ছে দোকানের দিকে আসে।তখন দুপুর বেলা এমন সময় স্বাভাবিক ভাবে আওয়ামিলীগ ছাত্রলীগ নেতা কর্মীরা সেদিকে যায় না।জুয়েল ভাই কে খোরশেদের সাথে এই প্রথম পরিচয়। জুয়েল কে দেখে খোরশেদ সালাম দেয়,জুয়েল সালামের উত্তর দেয়।এরপর জুয়েল তার সাথে পরিচয় হয় কথা বলে।চা পান করে এর পর পানও এক খিলি খায়।
খোরশেদ খুশি এই কারনে জুয়েল বয়সে ছোট হলেও খোরশেদের সাথে আপনি সম্বোধন করে কথা বলেছে।ভালোমন্দ জিজ্ঞাসা করেছে।খোরশেদ বলে অতীতে তার সাথে কোন নেতা এত আপন করে সম্মান করে কথা বলেনি।সবাই তাকে পান চা দোকানি হিসাবে সম্বোধন করেছে,তুই তুকারি করেছে।
সব শেষে যাবার কালে টাকা দেয়ার সময় খুচরো টাকা না থাকায় সাথে থাকা একজন থেকে টাকা খোজে নিয়ে আমার সামান্যই বিল নিজে পরিশোধ করেছে।অতীতে তা কেউ করেনি।বিদায় নেয়ার সময় সম্মানের সহিত আমাকে সালামও দিয়েছে।
এ কথা গুলি প্রায় কয়েকবছর আগের।গত পরশু আমি যখন খোরশেদ এর দোকানে যাই তার থেকে শুনা।এবং খোরশেদ আমাকে প্রশ্ন করে
আপনি এত কিছু লিখেন আমার জুয়েল ভাইয়ের জন্য কিছু লিখতে পারেন না?
আমি তাকে প্রশ্ন করি
খোরশেদ তোমার বাড়ি সাতকানিয়া, জুয়েলের প্রতি তোমার এত দরদ কেন?
উত্তরে খোরশেদ আমাকে উপরে উল্লেখিত কথা গুলি তখন বলে।
খোরশেদ আমাকে প্রাণীত করেছে নৌকার প্রার্থী কায়সারুল হক জুয়েলের পক্ষে অবস্থান নিতে।
জুয়েলের রাজনৈতিক পদ পদবি আর নাইবা লিখলাম। রক্তে যার আওয়ামিলীগ সে মানুষ,রাজনীতি, ক্ষমতার সাথে প্রতারণা করেনা।
রক্তে যিনি দুর্নীতি মুক্ত সে চেয়ারম্যান হলেও চেয়ার টির পবিত্রতা রক্ষা করবে।
যার রক্তে সুবিধাবাদ নাই সে ক্ষমতার অপব্যবহার করেনা।
তবে তারা একটু রগচটা ও মাথা গরম হয়
আমি জুয়েলের কাছে তাও দেখিনাই।
তো আমার সদর উপজেলায় একজন সৎ, দুর্নীতি মুক্ত, ন্যায় পরায়ন উপজেলা চেয়ারম্যান কে দেখতে চাই।
আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন অন্য উপজেলায় নেতাদের সুপারিশে নৌকা প্রতিকে মনোনয়ন দিলেও শুনেছি সদরের মনোনয়ন তিনি নিজ উদ্যোগে দিয়েছেন।শেখ হাসিনা প্রার্থী নির্ধারণে ভুল করেন না, এটি চা দোকানি খোরশেদের কথায় প্রমাণিত।
আসুন সবাই মিলে শেখ হাসিনার নিজ উদ্যোগে মনোনিত প্রার্থী কায়সারুল হক জুয়েল নির্বাচিত করে
তারুণ্যের জয় নিশ্চিত করি।আসুন তারুণ্য ঘিরে আগামীর স্বপ্ন বুনি।

লেখক
কবি ও নব্বইয়ের সাবেক ছাত্রনেতা
কক্সবাজার।

(লেখাটির বক্তব্য একান্তই লেখকের ব্যক্তিগত – সিবিএন )