আতিকুর রহমান মানিক:
সন্ত্রাসীদের অবৈধ সব আগ্নেয়াস্ত্রের ঝনঝনানিতে আবারো অশান্ত হয়ে উঠেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম। রাঙ্গামাটিতে গত কয়েকদিন আগেও নির্বিচার ব্রাশফায়ারে হতাহত হয়েছেন অন্ততঃ ডজনখানিক নীরিহ মানুষ। বিপথগামী গুটিকয়েক উপজাতি সন্ত্রাসীদের দ্বারা সংগঠিত হত্যা, গুম, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছে এখানকার নীরিহ জনগন। সন্ত্রাসকবলিত পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি-শৃংখলা রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গৌরবময় আত্নত্যাগ এবং বীরত্বগাঁথার অসংখ্য উদাহরন থেকে কেবলমাত্র একটি কাহিনীর অবতারনা করার জন্য আজকের এই লেখনী।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ। ৪৮ বছর আগে ১৯৭১ সালের এ দিনে প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষিত হয়েছিল। এরপর শুরু হয়েছিল রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ। আমাদের বৃহৎ এক প্রতিবেশী রাষ্ট্র যুদ্ধকালীন সময়ে কৌশলগত কারনে মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করলেও পরবর্তীতে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ যেন তাদের মাথাব্যাথার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাইতো আমরা দেখি, স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে আজ পর্যন্ত বৃহৎ এ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পরোক্ষ ইন্ধনে পরিচালিত হয়েছে ঘৃণ্য সব ষড়যন্ত্র। দেশটির কুখ্যাত এক গোয়েন্দা সংস্হা এসবের নেপথ্যে রয়েছে বলে ধারনা করা হয়।

রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এ তিনটি প্রশাসনিক জেলা নিয়ে গঠিত এ অঞ্চল প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর ও এতে রয়েছে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা। কিন্তু অজ্ঞাত কারনে আমাদের বৃহৎ প্রতিবেশীর শকুনের দৃষ্টি রয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতি। তাই পার্বত্য চট্টগ্রামকে সবসময় অশান্ত ও সাংঘাতময় রাখতে তাদের অপতৎপরতা বিদ্যমান। এরই ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রামের উপজাতীয় জনগোষ্ঠীকে সবসময় উস্কানি দিয়ে আসছে তারা। এর ফলেই সৃষ্টি হয়েছে তথাকথিত শান্তিবাহিনী।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জুড়ে এদের খুন, চাঁদাবাজি ও অন্যান্য অপকর্ম রুখতে সেখানে মোতায়েন রয়েছে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী। পাহাড়ী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ভূমিকা সবসময়ই বীরোচিত ও গৌরবোজ্জল। দেশের জন্য বিভিন্ন সময় সেখানে অকাতরে জীবন দিয়েছেন সেনা সদস্য ও কর্মকর্তারা। আজ স্বাধীনতা দিবসের এ দিনে আমরা সে রকম একজন তরুন সেনাকর্মকর্তার বীরত্ব ও আত্নদানের বাস্তব গল্প শুনব।

দেশে ইন্সার্জেন্সি অপারেশনের ইতিহাসে বৃহত্তর চট্টগ্রামের তিন পার্বত্য জেলা একটি গুরুত্ববহ নাম। মূলত এটি পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর অসন্তোষের বহিঃপ্রকাশ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ইন্সারজেন্টদের উৎখাত করার লক্ষ্যে ১৯৭২ সাল থেকে বিভিন্ন অপারেশন কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। এজন্য সেসময় থেকেই সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে মোতায়েন আছে। অপারেশন উত্তরণের পূর্ব পর্যন্ত সেনাবাহিনীর দায়িত্ব ছিল ঝুঁকিপূর্ণ এবং আক্রমণাত্মক অভিযান পরিচালনা করা। এজন্য সেনাবাহিনী এবং নিরাপত্তা বাহিনীর অনেক সদস্যকে জীবন দিতে হয়েছে। এমনই একজন হলেন বীর উত্তম লেফটেন্যান্ট মুশফিক।

ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির তরুণ ও চৌকশ অফিসার ছিলেন লে. মুশফিক। তখন ১৯৮৯ সাল। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১, ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারি তখন পার্বত্য চট্টগ্রামে অপারেশনের দায়িত্বে নিয়োজিত। প্রায় প্রতিদিনই শান্তিবাহিনীর সদস্যদের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ চলছিল। কিন্তু, তা সত্ত্বেও দেশের জন্য জীবনবাজি রেখে দুঃসাহসী সেনা সদস্যরা নিয়মিত অপারেশন চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সেইসব অপারেশন ছিল দুঃসাহসিক বীরত্বের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

সেদিন ছিল ৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৯। মেঘলা আবহাওয়ার গুমোট আকাশে সূর্যাস্ত হয়েছে অনেক আগেই। এরপর রাতের আকাশজুড়ে নিকষ কালো অন্ধকারে রাত তখন আড়াইটা। লে. মুশফিকের রেডিয়াম হাতঘড়িটা সময় জানান দিচ্ছে। এর ঠিক চার ঘন্টা আগে লক্ষ্মীছড়ি আর্মি ক্যাম্প থেকে ১৭ জন রেইডার্স নিয়ে চেলাছড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেছিলেন তিনি। ক্যাম্প থেকে আসতে আসতে পাহাড়ী পথে অনেক চড়াই-উতরাই পার হতে হয়েছে।

রাতের পাহাড়ি পথ ভয়ানক দুর্গম ও বিপদসঙ্কুল। কিন্তু চৌকষ সেনা কর্মকর্তার দায়িত্বশীল নেতৃত্বে দুঃসাহসী জোয়ানরা স্বাভাবিক সময়ের অনেক আগেই পৌঁছে গেলেন লক্ষ্যস্থলে। লক্ষ্য যেন হাতছাড়া না হয়, সেজন্য সিন্দুকছড়ি ক্যাম্প থেকেও সেকেন্ড লে. সাইদ আর একটি দল নিয়ে উল্টাছড়ি গ্রামের পাশে পজিশন নেন। দুই সেনাদকেই টানটান উত্তেজনা, শত্রুর সাথে সংঘর্ষ এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র । নিজস্ব সোর্সের সহায়তায় পাহাড়ের পাদদেশে, আর চূড়ায় দুটি জুম ঘর শনাক্ত করলেন লে. মুশফিক। সোর্সের ভাষ্যমতে এ দুটি ঘরেই সশস্ত্র বিদ্রোহীদের অবস্থান করার কথা।

দুটো উপদলকে পাহাড়ের পাদদেশে পজিশন নিতে বলে নিজে ৫ জনসহ চলে গেলেন পাহাড়ের চূড়ায়। এরপর অস্ত্রতাক করে পজিশন নিয়ে জুম ঘর থেকে মাত্র পাঁচ গজ দূরে লে. মুশফিক শুয়ে আছেন তার দলসহ। টার্গেট আরেকটু ক্লিয়ার হলেই অপারেশন শুরু করার ছক আঁকছিলেন তিনি। উদ্যেশ্য ছিল সন্ত্রাসীদের পাকড়াও করে আস্তানা গুঁড়িয়ে দেয়া।

কিন্তু প্রকৃতির খেয়াল হয়তো ভিন্ন ছিল। তাই হঠাৎ করেই আকাশে বিদ্যুৎ চমকে উঠল আর এর আলোয় দেখা হয়ে গেল দুই পক্ষের ছায়া অবস্থান। ব্যাস, মূহুর্তের মধ্যেই ফায়ার ও পাল্টা ফায়ার। কয়েক মূহুর্তেই রণক্ষেত্র হয়ে গেল সেই পাহাড়চূড়া। আর এর মধ্যে শত্রুর প্রথম বুলেটটাই নিজের বুকে নিলেন লে. মুশফিক। কিন্তু অব্যাহত রাখলেন আক্রমন। অকুতোভয় অফিসারের নির্দেশনায় পেশাদার সৈনিকদের প্রচন্ড আক্রমনে টিকতে না পেরে ততক্ষনে কাপুরুষের মত পালিয়েছে তথাকথিত শান্তিবাহিনীর সন্ত্রাসীরা।

গোলাগুলি শেষ করে সবাই লে. মুশফিকের চারপাশে প্রতিরোধমূলক অবস্থান (ডিফেন্স) নিলেন। উদ্ধার হল শান্তিবাহিনীর ইউনিফর্ম পরা উপজাতি সন্ত্রাসীদের তিনটি মৃতদেহ, দুটি রাইফেল ও একটি এসএমজি। এদিকে গোলাগুলির শব্দ পেয়ে লে. সাইদ ততক্ষণে লে. মুশফিকের কাছে পৌঁছে গেছেন। প্রচুর রক্তক্ষরণে ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া মুশফিকের মুখ দেখেই তিনি বুঝতে পারলেন সময় খুব কম।

ততক্ষনে আঁধার কেটে গিয়ে পূবাকাশে উষার ঝিলিক দেখা দিয়েছে, ক্রমশঃ প্রস্ফুটিত হয়ে উঠছে দিবালোক। কিন্তু মুমূর্ষু মুশফিকের চারপাশে তখন নিকষ আঁধার ঘনিয়ে আসতে শুরু করেছে। চারদিকে সবুজ ঘেরা পাহাড়চুড়ায় বিষাদের পদধ্বনি ঘনায়িত হচ্ছে।
একই সাথে ক্রমশঃ নিস্তেজ হয়ে আসছে মুশফিকের দেহ।

অাধোচেতন সেনাকর্মকর্তার মানসচোখে প্রথমে মা, তারপর বাবার মুখ ভেসে উঠল। তার ওপর আঁধার মেঘ ফুঁড়ে তিনটা চেনা মুখ যেন উঁকি দেয়; হাতছানি দিয়ে ডাকে শহীদ হাবিলদার হারুন, ল্যান্সনায়েক সুনীল আর ডিএমটি নাজমুল হুদা। এর ঠিক ৯ দিন আগে বাঘাইহাট থেকে ১০ নম্বর ক্যাম্পে যাবার পথে শান্তিবাহিনীর পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে এরা তিনজন প্রাণ হারিয়েছিলেন। কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে, তবু অঝোর কান্নায় ভেঙে পড়া রানার সৈনিককে সান্ত্বনা দিতে মুশফিক বলে উঠেন, ‘তোমার তো সংসার আছে, পরিবার আছে, তুমি মারা গেলে তাদের কী হবে? আমি মরলে এদেশের কারো কোনো ক্ষতি হবে না।”

মেঘলা আবহাওয়ায় পাহাড়ে উষার আভাষে ঘড়ির কাঁটা গড়াচ্ছে সামনের দিকে। ততক্ষনে হেলিকপ্টার কল করা হয়েছে। লে. সাইদ ছুটলেন হেলিপ্যাড বানাতে। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই হেলিকপ্টার উড়াল দিয়েছিল। অদুরেই হলুদ উইন্ডশকসটা পতপত করে উড়ছে, আর দূর দিগন্তে পাখা ঝাপটিয়ে, গাছের আগা তোলপাড় করে উড়ে আসা হেলিকপ্টারটা ক্রমশঃ বড় দেখাচ্ছে।

কিন্তু দেরি হয়ে গেছে অনেক। বীর মুশফিক ততক্ষণে হারুন, সুনীল আর নাজমুল হুদাদের সাথে মেঘেদের দেশে অসীমে পাড়ি দেয়ার দ্বারপ্রান্তে। দেশমাতৃকার প্রতি ইঞ্চি ভূমি নিজের সর্বশেষ রক্তবিন্দুর বিনিময়ে রক্ষার শপথ বাস্তবে রূপ দেয়ার আর কতক্ষন বাকী ?
তাইতো সাতক্ষীরার ছেলে মুশফিক অনেক দূরের দুর্গম পার্বত্য চট্টগ্রামের অচেনা এক সবুজ পাহাড়ে তাঁর রানারের কোলে মাথা রেখে মৃত্যুর প্রতীক্ষায়। অসহায় রানার থেমে থেমে আক্ষেপে বলে উঠছে, ‘গুলিটা আমার গায়ে ক্যান লাগল না স্যার…?’

সেদিন দেশমাতৃকার জন্যে এভাবেই নিজের জীবন বিসর্জন দেন শহীদ লে. মুশফিক। ২৪ সেপ্টেম্বর তাঁকে ‘বীর উত্তম’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশে এই প্রথম ‘বীর উত্তম’ উপাধি পেলেন সময়ের এক দুরন্ত সাহসী সেনা কর্মকর্তা শহীদ লে. মুশফিক।

পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তা এবং শান্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এভাবেই প্রাণ দিয়ে গেছেন আমাদের অহংকার ও সাহসের বাতিঘর বীর সেনানীরা। তাঁরা আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার। দেশমাতৃকার প্রয়োজনে বুকের তাজা রক্ত এভাবেই ঢেলে দিয়েছেন এদেশের সূর্যসন্তানরা। দূর্গম পার্বত্য চট্টগ্রামের সেনাবাহিনীর ভূমিকা আশা জাগানিয়া ও গৌরবময়।

অাধিপত্যবাদ, সাম্রাজ্যবাদ ও ঘাপটি মেরে থাকা দেশীয় শত্রুদের মূর্তিমান আতংক আমাদের বীর সেনাবাহিনী। তাই অতীতে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর সক্ষমতা নষ্ট করার জন্য ঘৃণ্য অনেক ষড়যন্ত্র পরিচালিত হয়েছে। ঢাকার পিলখানায় ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সংঘঠিত বিডিআর বিদ্রোহ এর জ্বলন্ত প্রমান। জঙ্গী দমনের নায়ক লেঃ কর্ণেল গুলজার, কক্সবাজারের চকরিয়ার লেঃ কর্নেল কায়সার ও বিডিআর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমদসহ ৫৭ চৌকষ সেনা কর্মকর্তা শহীদ হয়েছিলেন সেদিন। শতাব্দীর নৃশংশ ও জঘন্যতম এ হত্যাকান্ডের নেপথ্য নায়করা কিন্তু চিহ্নিত হয়নি এখনো। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ঘৃণ্য এক ষড়যন্ত্রের ফল ছিল এই বিডিআর বিদ্রোহ।
ভিতর-বাইরের যত ষড়যন্ত্রই আসুক, সম্মুখপানে এগিয়ে যাবে প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ, বিগত ৪৮ বছরের ইতিহাস তাই বলে।

তাই কবি যথার্থই বলেছেন,
“হিমালয় থেকে সুন্দরবন, হঠাৎ বাংলাদেশ
কেঁপে কেঁপে ওঠে পদ্মার উচ্ছ্বাসে,
সে কোলাহলে রুদ্ধস্বরের আমি পাই উদ্দেশ
জলে ও মাটিতে ভাঙনের বেগ আসে।
হঠাৎ নিরীহ মাটিতে কখন
জন্ম নিয়েছে সচেতনতার দান,
গত আকালের মৃত্যুকে মুছে
আবার এসেছে বাংলাদেশের প্রাণ।
“হয় দান নয় প্রাণ” এ শব্দে
সারা দেশ দিশাহারা,
একবার মরে ভুলে গেছে আজ
মৃত্যুর ভয় তারা।
সাবাস, বাংলাদেশ, এ পৃথিবী
অবাক তাকিয়ে রয়ঃ
জ্বলে পুড়ে-মরে ছারখার
তবু মাথা নোয়াবার নয়।
এবার লোকের ঘরে ঘরে যাবে
সোনালী নয়কো, রক্তে রঙিন দান,
দেখবে সকলে সেখানে জ্বলছে
দাউ দাউ করে বাংলাদেশের প্রাণ।।”
(দূর্মর / সুকান্ত ভট্টাচার্য)।

৪৮ তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের এ দিনে শহীদ লে. মুশফিক, লেঃ কর্নেল গুলজার, লেঃ কর্ণেল কায়সার ও মেজর জেনারেল শাকিলসহ আরো অনেক সূর্যসন্তানদের বীরত্বগাথা বুকে লালন করে সামনে এগিয়ে যাওয়াই হোক আমাদের ভবিষ্যত ব্রত, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।

আতিকুর রহমান মানিক
ফিশারীজ কনসালটেন্ট ও সংবাদকর্মী
চীফ রিপোর্টার, দৈনিক আমাদের কক্সবাজার।