বিশেষ প্রতিবেদক:
জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুুতি দিবস- ২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। তার মধ্যে ছিল দুর্যোগ প্রস্তুতির মহড়া, ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, র্যালী, আলোচনা সভা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী। কোস্ট ট্রাস্ট ও সিএফটিএম প্রকল্পের জলবায়ু ফোরাম উক্ত কার্যক্রমের র্যালী ও আলোচনা সভায় আলাদা ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে অংশগ্রহণ করে। সরকারীভাবে এ বছরের প্রতিপাদ্য বিষয় নির্ধারিত হয় ‘দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুতি হ্রাস করবে জীবন ও সম্পদের ঝুঁকি’। জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসন-এর নেতৃত্বে জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ের সামনে থেকে র্যালী যাত্রা শুরু হয়।
রবিবার (১০ মার্চ) সকাল ৯টায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা র্যালীতে অংশগ্রহণ করার জন্য জমায়েত হয়। তাতে ‘দুর্যোগ-ঝুঁকি হ্রাসে উপকূলে প্রস্তুতি ও সুরক্ষা সবার আগে, অগ্রাধিকারভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা ও জলবায়ু অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে’ শ্লোগান সম্বলিত ব্যানার নিয়ে কোস্ট ট্রাস্ট ও কক্সবাজার জলবায়ু ফোরাম র্যালীতে অংশগ্রহণ করে। জেলা জলবায়ু ফোরাম সভাপতি মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম ও উপজেলা জলবায়ু ফোরাম সভাপতি আবদুর রহিমের নেতৃত্বে ২০ জনেরও অধিক জলবায়ু ফোরাম সদস্য সবান্ধবে র্যালীতে অংশগ্রহণ করেন।
জলবায়ু ফোরামের সদস্যগণ বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন প্রদর্শন করে র্যালী প্রদক্ষিণ করেন।
ফেস্টুনের শ্লোগান ছিল…
১. উন্নয়ন পরিকল্পনায় স্থানীয় জনগণকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
২. উপকূলীয় দুর্যোগ হ্রাসে ১৫-২০ ফুট উচ্চতার টেকসই বেড়িবাঁধ দিতে হবে।
৩. বিচ্ছিন্ন চর ও দ্বীপসমূহে পর্যাপ্ত বাঁধ ও সাইক্লোন শেল্টার দিতে হবে।
৪. বাজেট বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
৫. জনগণের সম্পদ রক্ষায় সরকারকে যথাসময়ে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মান করতে হবে।
৬. সচেতনতা বাড়াই দুর্যোগ ঝুঁকি কমাই।
৭. বেড়িবাঁধ নির্মানস্থলে তথ্যবোর্ড স্থাপন করা হোক, তথ্যবোর্ড স্থাপন না করা সরকারী নির্দেশের বরখেলাপ।
৮. কক্সবাজারে রেল লাইন সম্প্রসারণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত বন পূরণে ৫ গুণ বন সৃজন করা হোক।
৯. বিচ্ছিন্ন চর ও দ্বীপসমূহে পর্যাপ্ত বাঁধ ও সাইক্লোন শেল্টার দিতে হবে।
১০. মহেশখালী, কুতুবদিয়া দ্বীপে প্যারাবন সৃজনের মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করুন।
উল্লেখ্য যে, জলবায়ু ফোরামের পক্ষ থেকে উক্ত শ্লোগান সম্বলিত ফেস্টুন ও ব্যানার নিয়ে ১০ মার্চ তারিখে একই সময়ে চকরিয়া ও কুতুবদিয়া উপজেলা সদরে র্যালীর আয়োজন করা হয়।
র্যালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে ঝাউতলা হয়ে আবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ফিরে আসে। এরপর র্যালীতে অংশগ্রহণকারীগণ জেলাপ্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দিবসের তাৎপর্য নিয়ে আয়োজিতআলোচনা সভায় যোগদান করেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কামাল হোসেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাহজাহান, সাইক্লোন প্রিপারড্নেস প্রোগ্রামের উপ-পরিচালক হাফিজ আহমেদ, কোস্ট ট্রাস্ট-এর সহকারী পরিচালক মকবুল আহমেদ, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের চৌধুরী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তা মো. আবদুল মালেক, কক্সবাজার জলবায়ু ফোরাম সদস্য কামাল উদ্দিন রহমান পেয়ারু ও রেড ক্রিসেন্ট প্রতিনিধি।
আলোচনা সভা শেষে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পূর্বে আয়োজিত চিত্র প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মমর্তা মোঃ রইস উদ্দিন মুকুল।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।