‘কক্সবাজারের কলাতলী বড়ছড়া ও দরিয়ানগর এলাকায় পারভেজ সিন্ডিকেটে অতিষ্ঠ মানুষ’ শিরোনামে বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) কক্সবাজার নিউজ ডটকম অনলাইনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদটি আমি নিম্ন স্বাক্ষরকারীর দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদে আমার বিরুদ্ধে বেনামে চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে। অথচ আমি একজন ঠিকাদারী ব্যবসায়ী, চাঁদাবাজির মত নিকৃষ্ট কাজের মাধ্যমে আমার জীবিকা নির্বাহ করতে হয় না। আমার প্রতিষ্ঠানে অনেক যুবক চাকরী করেন। কিন্তু আমি ব্যবসার পাশাপাশি রাজনীতির প্রতিও আসক্ত। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমাকে কাছে টানে বলে আমি এই আদর্শের রাজনীতি করি। কিন্তু এ রাজনীতিকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে আমাকে কোন অপকর্ম করতে হয় না। কারণ রাজনীতি আমার আয়-উপার্জনের কর্মস্থল নয়। আদর্শিক রাজনীতিই আমার চালিকা শক্তি। আমার পার্টির সৎ ও নিষ্টাবান নেতাকর্মীরাই আমার উৎসাহ ও অনুপ্রেরণার উৎস। পাশাপাশি জাতির জনকের কন্যা বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার মাদকবিরোধী অভিযানের আমিও একজন লড়াকু সৈনিক। দীর্ঘদিন ধরে আমি এলাকার ইয়াবা সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সোচ্চার। সম্প্রতি টেকনাফ থেকে পালিয়ে দরিয়ানগরে এসে ইয়াবা আস্তানা গড়ে তোলে বেলাল সিন্ডিকেট। কিছুদিন আগে বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ সেই সিন্ডিকেটের একজন সদস্যকে ঈদগাঁও থেকে আটকের পর সিন্ডিকেট প্রধান বেলাল দরিয়ানগর ছেড়ে অন্যত্র আত্মগোপন করে। তাকে ধরতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় অভিযান চালালে আমি পুলিশকে সহায়তা করি। এসময় বেলালকে ধরিয়ে দেয়ার জন্য তার গাড়ির ড্রাইভার মনছুরকে বলি। আর এ বলাটাই হচ্ছে চাঁদাবাজি? যে কথার সাক্ষী সদর থানার এসআই কামাল।
মহিউদ্দিন নামের এক ব্যক্তির যে বক্তব্য পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, তাতেইতো বোঝা যায় যে, আমার বিরুদ্ধে তার কোন অভিযোগ নেই। আমি তাকে মারধর করিনি।
মূলত: আমার বিরুদ্ধে এসব অপ্রচার চালাচ্ছে কলাতলী ও দরিয়ানগর এলাকার ইয়াবা সিন্ডিকেটের সদস্যরা। কারা আমার বিরুদ্ধে মোটা অংকের অর্থ বিনিয়োগ করে অপপ্রচার চালাচ্ছে, সেটা সাংবাদিকরাও জানেন। কিন্তু আমার বক্তব্য না নিয়ে এবং অভিযোগ যাচাই-বাছাই না করে আমার বিরুদ্ধে যে জঘন্য মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে, তা হলুদ সাংবাদিকতা ছাড়া কিছুই নয়। আমি সংশ্লিষ্ট পত্রিকার সম্পাদকের কাছে আমার বক্তব্যখানি  প্রকাশের অনুরোধ জানাচ্ছি।
নিবেদক
মোশাররফ হোসেন পারভেজ
দরিয়ানগর বড়ছড়া, কক্সবাজার।