সিবিএন ডেস্ক:

জাতীয় নির্বাচনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিধান করে আনীত ‘গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আইন, ২০১৯’সহ তিনটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপ দিল জাতীয় সংসদ। এই অধ্যাদেশগুলো বিগত সরকারের শেষ সময়ে করা হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার এগুলো আইন হিসেবে সংসদে পাস হয়েছে। অপর দুটি বিল হলো- ‘চিটাগাং হিল ট্রাকস (ল্যান্ড একুইজিশন) রেগুলেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০১৯’ ও ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১৯’।

গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আইন, ২০১৯

নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার, মনোনায়পত্র দাখিলের আগের দিন পর্যন্ত খেলাপি ঋণ পরিশোধের বিধান করে ইতিপূর্বে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক জারিকৃত অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করতে সংসদে উত্থাপিত ‘গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আইন-২০১৯’ বিলটি পাস হয়েছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) অধ্যাদেশ জারি করেন।

বিলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার, মনোনয়নপত্র দাখিলের পূর্বদিন খেলাপি ঋণ পরিশোধের সুয়োগ দান, অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার সুযোগ এবং ইভিএম সংশ্লিষ্ট অপরাধের শাস্তির বিধান সংযোজনের বিধান করা হয়েছে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়। তার আগে জাতীয় পার্টির কয়েকজন সদস্য কর্তৃক আনীত সংশোধনী প্রস্তাব, বিলটির ওপর জনমত যাছাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

চিটাগাং হিল ট্রাকস (ল্যান্ড একুইজিশন) রেগুলেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০১৯

সমতলের মতো পার্বত্য চট্টগ্রামে অতিরিক্ত ৩০০ ভাগ ক্ষতিপূরণের বিধান করে ‘চিটাগাং হিল ট্রাকস (ল্যান্ড একুইজিশন) রেগুলেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট, ২০১৯’ বিল সংসদে হয়েছে।

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে তা পাস হয়। তার আগে জাতীয় পার্টির কয়েকজন সদস্য কর্তৃক আনীত সংশোধনী প্রস্তাব, বিলটির ওপর জনমত যাছাই ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

এই বিলে সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য অধিগ্রহণের জন্য ভূমির ক্ষতিপূরণের হার সমতলের মতো স্থানীয় ভূমি মূল্যের অতিরিক্ত ২০০ ভাগ হারে নির্ধারণের বিধান করা হয়েছে। একইভাবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির ক্ষেত্রে অধিগ্রহণের জন্য ভূমির ক্ষতিপূরণের হার সমতলের মতো স্থানীয় ভূমি মূল্যের অতিরিক্ত ৩০০ ভাগ হারে নির্ধারণের বিধান করা হয়েছে। আগের আইনে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ছিল ১০০ টাকায় ১১৫ টাকা। অর্থাৎ বাজার মূল্যেও থেকে মাত্র ১৫ শতাংশ বেশি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১৯

এছাড়া এদিন রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ইতোপূর্বে জারিকৃত এবং সংসদে উপস্থাপিত আরেকটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করতে সংসদে উত্থাপিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১৯’ নামের বিলটি সংসদে পাস হয়। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপুমনি বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে কণ্ঠভোটে পাস হয়।

অ্যাভিয়েশন বা বিমান চালনা ও পরিচালনা সংশ্লিষ্ট উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন পর্যায় অগ্রসর বিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রক্ষা ও সমতা অর্জন এবং জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অ্যাভিয়েশন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা, গবেষণা, আধুনিক জ্ঞানচর্চা ও পঠন-পাঠনের সুযোগ সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের লক্ষ্যেই এই বিলটি পাস করা হয়েছে।