বার্তা পরিবেশক:
রামু উপজেলায় খুরশিদা বেগম (৩২) নামে এক মহিলাকে প্রতিপক্ষ ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করেছে। আহত খুরশিদা বেগম উপজেলার জোয়ারিয়ানালার মৌলভীপাড়ার জহির আহমদের স্ত্রী। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে উপজেলার জোয়ারিয়ানালার মৌলভীপাড়ায় নিজ বাড়িতে ঢুকে আধিপত্যের জেরে স্থানীয় সন্ত্রাসীরা এ ঘটনা ঘটায়।

আহত খুরশিদার ভাই ওসমান সরওয়ার টিপু জানান, জোয়ারিয়ানালার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এমএম নুরুচ্ছফার মেয়ে রোখসানার (২৭) ছেলে রোকসান সরওয়ার রিপন (১২) ও আহত খুরশিদার ছেলে ফরহাদুল হক মুন্না (১২) দুজনই রামু খিজারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র এবং একের অপরের ঘনিষ্ট বন্ধু।

অভিযোগ মতে, বৃহস্পতিবার ৩ টার দিকে দুজনের বন্ধুত্বসুলভ দুষ্টুমীর জের ধরে এক পর্যায়ে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটি ভয়াবহরূপ নিয়ে চেয়ারম্যান নুরুচ্ছাফার মেয়ে রোখসানা, তার ভাই আসিফুর রহমান জন (৩০) ও সাঙ্গপাঙ্গ ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে খুরশিদার বাড়িতে ঢুকে তার স্বামী ও ছেলেকে কিল-ঘুষি এবং থাপ্পড় মারতে থাকে। খুরশিদা এর কারণ জানতে চাইলে তারা কোন কথা না শুনে মারতেই থাকে। পরে প্রতিবাদ করলে সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে খুরশিদাকে বেদড়ক মারধর ও এলোপাতাড়ি ছুরি দিয়ে আঘাত করে।

এ সময় পুরো পরিবারের চিৎকার ও অর্তনাদ শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে সন্ত্রসাী রোখসানা খুরশিদা বেগমের স্বর্ণের চেইন, ব্রেসলাইট ও মোবাইল কেড়ে নেয় এবং দলবল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। এ ছাড়াও পিঠে বড় জখমের চিহ্ন দেখা যায়। এ ঘটনায় আহতের স্বামী জহির আহমদ বাদী হয়ে রামু থানায় অভিযোগ করেন বলে জানা যায়।