সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
গত ১৩ ডিসেম্বর টেকনাফের সাবরাং এলাকায় ধানের শীষের নির্বাচনী প্রচারণা থেকে ২০ নেতাকর্মী আটকের ঘটনায় উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছেন কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী।
তিনি বলেন, বিনা উস্কানীতে নির্বাচনী কাজ থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের আটক করা খুবই দুুঃখজনক। পুলিশ সরকারী দায়িত্ব পালন না করে দলীয় ভূমিকা পালন করছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সেই সাথে আটককৃতদের অবিলম্বে মুক্তি দাবী করছি।
দুঃখের বিষয়, নির্বাচনী প্রচারণা থেকে আটককৃত ২০ জনের নামে দুইটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় তাদের গ্রেফতারের কথা বলে শুক্রবার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কক্সবাজার আদালতে চালান দিলেও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত মামলার কপি বিজ্ঞ আদালতে পাঠায়নি। যা আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ফৌজদারী কার্যবিধি ৬১ ধারা অনুসারে মামলার সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্রসহ ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামী আদালতে পাঠাতে হবে।
তিনি বলেন, অফিস চলাকালে আসামী পাঠানোর বিধান থাকলেও সন্ধ্যা ৬টার পরে আসামীদের আদালতে আনা হয়, যাতে কোন প্রকার তদ্বির করতে না পারে। অফিস সময়ের পরে আসামী চালান করা আইনকে তোয়াক্কা না করার মতো। ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বর্তমান এমপি আবদুর রহমান বদির কথা মতো মামলা সাজানোর জন্য মামলার কপিসহ আসামীদের আদালতে পাঠায়নি। শাহজাহান চৌধুরী আরো বলেন, জেলা বিএনপি নেতা সোলতান আহমদ মেম্বার, কবির আহমদ মেম্বার, আলহাজ্ব আবুল হাশেম মেম্বারসহ শীর্ষ নেতাদের সাথে অভদ্র ভাষায় গালমন্দ ও অপমান করেছে ওসি। থানার কনফারেন্স কক্ষে ঢুকিয়ে অপমানজনকভাবে তাদের ছবি ধারণ করা হয়েছে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রশাসনের নিরপেক্ষতা সবাই আশা করলেও টেকনাফ থানার ওসি ও থানা পুলিশ আমার প্রতিপক্ষের মতো আচরণ করছে। নির্বাচন কমিশন ও রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করেও প্রতিকার পাইনি। আমি সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে সন্দিহান।
উল্লেখ্য, আটক বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় পৃথক দুইটি মামলা হয়েছে। মামলা নং জিআর ৭৯৩/১৮ এবং জিআর ৭৯৪/১৮।