বার্তা পরিবেশক:

একাদশ সংসদ নির্বাচনে মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মাছ মার্কার প্রার্থী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পরিবেশ বিজ্ঞানী ও নবম সংসদ নির্বাচনের নৌকা প্রার্থী প্রফেসর ড. আনসারুল করিমে প্রথম পথসভায় মানুষের ঢল নেমেছে। বুধবার (১২ ডিসেম্বর) বিকাল থেকে তিনি মহেশখালী পৌর এলাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকায় পথসভা করেন। এতে পুরো পৌর উপজেলাজুড়ে অন্যরকম চমক সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, এই পথসভার মাধ্যমে ড. আনসারুল করিম আনুষ্ঠানিক প্রচারণার কাজ শুরু করেছেন। দুপুর ১২টার দিকে তিনি কক্সবাজার থেকে আদিনাথ জেটি হয়ে মহেশখালী গমণ করেন। তাকে বরণ করে নিতে হাজার হাজার মানুষ জেটিতে ছুটে আসেন। ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে তাঁকে বিরাট পথযাত্রা সহকারে পৌর এলাকায় অনুষ্ঠিত পথসভায় নিয়ে যোগদেন। সেখানে আগে থেকেই তাঁকে বরণ করতে অপেক্ষায় ছিলো হাজার হাজার মানুষ। এর আগে সকাল থেকে উপজেলার ধলঘাটা, মাতারবাড়ি, কালারমারছড়া, হোয়ানক, কুতুবজোম ও শাপলাসহ সব এলাকা থেকে জীপ, সিএনজি অটোরিক্সা, টমটমসহ নানাভাবে হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসতে থাকে। তবে নৌকার লোকজন ও পুলিশ মিলে এসব মানুষ আসতে বাধা দিয়েছে বলে ড. আনসারুল করিম অভিযোগ করেছেন। তারপরও হেঁটে এবং নানাভাবে ড. আনসারুল করিমের ভালোবাসার মানুষকে ঠিকই ছুটে গেছে পথসভায়। কোনো বাধাই তাদের আটকে রাখতে পারেনি। তবে বাধা দেয়ার কারণে আরো অর্ধেক মানুষ পথসভায় যোগ দিতে পারেনি বলে জানিয়েছেন ড. আনসারুল করিম। পরে তিনি বড়মহেশখালী, হোয়ানক ও কালারমারছড়ার বিভিন্ন বাজারে পথসভায় মিলিত হন। রাত পর্যন্ত তিনি পথসভায় যোগ দেন। এসব পথসভায় জনতার ঢল নামে। এসময় তার সাথে ছিলেন, মহেশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা সরওয়ার আজম, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান। তাঁর ছেলে ব্যারিস্টার আদনান করিমসহ বিভিন্ন এলাকার আওয়ামী লীগ নেতা, এলাকার গণমান্য ব্যক্তিগণ।

ড. আনসারুল করিমকে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়ে এসব মানুষ। তারা নানা শ্লোগানে কম্পিত করে তোলে পুরো পৌর এলাকা। এর ঢেউ পুরো উপজেলাতে ছড়িয়ে যায়।

পথসভায় উপস্থিত জনগণের উদ্দেশ্যে ড. আনসারুল করিম বলেন, আমি সব সময় আপনাদের সাথে ছিলাম। আমি কোনো দিন আপনাদের ছেড়ে থাকতে থাকতে চাইনি, কখনো ছেড়ে থাকতে পারবো না। আপনাদের এই বাঁধভাঙা সমর্থন আমাকে কোনোদিন আপনাদের ছেড়ে থাকতে পারবো না। আপনাদের সমর্থন এবং ভালোবাসার দিয়ে আমি নৌকার মনোনয়ন পেতে অনেক এগিয়ে ছিলাম। কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে অদৃশ্য শক্তির হস্তক্ষেপে আমি মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছি। মনোনয়ন না পেয়ে আমি নির্বাচন না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলাম। কিন্তু যে কোনো ভাবে নির্বাচন করতে আপনারা আমার প্রতি জোর দাবি রেখেছেন। একই সাথে গত পাঁচ বছরে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার অনেক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী দলের শীর্ষ জনপ্রতিনিধির হাতেই নির্যাতি হয়েছেন। অনেক সাধারণ জনগণ নানাভাবে নির্যাতিত হয়েছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাদ্দ দেয়া প্রকল্পের প্রকৃত অসহায় মানুষের হাতে যায়নি। সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়ে উসকে দেয়া হয়েছে। এতে সাধারণ জনগণ নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। এসব সমস্যার সমাধান করতেই আমি মাছ মার্কা নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। আপনাদের এই অভূতপূর্ব সমর্থন নিয়ে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। আপনারা সব বাধা, হুমকি ও নির্যাতন উপেক্ষা করে মাছ মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে আপনাদের খেদমত করার সুযোগ দিবেন।