বিবিসি বাংলা :

বেজিংএ মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে মঞ্চে উঠলেন মার্কিন ধনকুবের বিল গেটস একটা অভিনব জিনিস নিয়ে।

একটা কাচের জার। তার তার ভেতরে বাদামি রঙের কিছু একটা দেখা যাচ্ছে। অবিশ্বাস্য লাগতে পারে, কিন্তু জিনিসটা আসলে মানুষের মল।

কেন এরকম একটা বিদঘুটে জিনিস নিয়ে মঞ্চে উঠলেন মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস?

কারণ তিনি একটা নতুন ধরণের টয়লেট প্রযুক্তি সবার সামনে তুলে ধরতে যাচ্ছেন। অনুষ্ঠানটির নামও নব-আবিষ্কৃত টয়লেট এক্সপো।

এখানে প্রদর্শিত হচ্ছে ২০টি অত্যাধুনিক টয়লেট প্রযুক্তি – যার লক্ষ্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করা এবং রোগ বিস্তার ঠেকানো।

এখানে নতুন ধরণের যে সব টয়লেট দেখানো হয়, তাতে কোন পয়োবর্জ্য ব্যবস্থা ছাড়াই মানববর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করা যাবে। অর্থাৎ এটা টয়লেটের ভেতরেই প্রক্রিয়াজাত হয়ে যাবে, কোন পাইপে করে কোথাও ফেলার ব্যবস্থা করতে হবে না।

বিল গেটস বলছেন, নতুন ধরণের এসব টয়লেটে একটা রাসায়নিক প্রক্রিয়া ব্যবহৃত হবে – যাতে মানুষের মল থেকে বাজে গন্ধ এবং ক্ষতিকর প্যাথোজেনগুলো দূরীভূত হবে। বাকি থাকবে ছাইয়ের মতো একটা জিনিস – যা সার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে বা ফেলে দেয়া যাবে।

চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও এই তিনদিনের ইভেন্টে এসে বলেছেন, তিনি তার দেশে ‘টয়লেট বিপ্লব’ ঘটাতে চান।

বিল গেটস বলছিলেন, তার পাশে রাখা জারটিতে যে পরিমাণ মল আছে তাতে আছে ২০০ ট্রিলিয়ন (২ কোটি কোটি) রোটা ভাইরাস, ২ হাজার কোটি শিগেলা ব্যাকটেরিয়া, এবং এক লক্ষ পরজীবী কীট বা প্যারাসাইটের ডিম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, পৃথিবীতে ২৩০ কোটি লোক এখনো প্রাথমিক ল্যাট্রিন সুবিধার বাইরে রয়ে গেছে। এর ফলে কলেরা, ডায়রিয়া এবং আমাশয় রোগ ছড়ায় যাতে প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ লোক মারা যায়।

বিল গেটস বলেন, নতুন টয়লেট পদ্ধতির ফলে এসব রোগের চিকিৎসায় যে ২০ হাজার কোটি ডলার ব্যয় হয় তা অনেক কমে যাবে।