চবি সংবাদদাতাঃ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় হাটহাজারী থানায় পাল্টা-পাল্টি মামলা দায়ের করেছেন সংঘর্ষে লিপ্ত দুই পক্ষই।

শনিবার পাল্টা-পাল্টি মামলা দুটি দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছেন হাটহাজারী থানার ওসি (তদন্ত) শেখ শামীম।

তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরে চলতে থাকা ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় সংগঠনটির দুর্টি পক্ষই ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করে। এতে সিক্সটি নাইনের ৮ জন ও সিএফসির ১১ জনের নাম উল্লেখ করে।

থানা সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায়
চবি ছাত্রলীগের সিএফসি গ্রুপের নেতা আল আমিন ভূঁইয়া বাদি হয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। এতে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করা
হয়।

সিএফসি গ্রুপের নেতা আল আমিন ভূঁইয়া বাদী হয়ে যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তারা হলেন- চারুকলা বিভাগের আনোয়ার হোসেন, মার্কেটিং বিভাগের শ্রাবণ মিজান, আইন বিভাগের মিজান শাইখ, ফরেস্ট্রি বিভাগের সাঈদ করিম মুগ্ধ, লোক প্রশাসন বিভাগের শাহিব তানিম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের আল আমিন শান্ত, আইন বিভাগের ফোরকানুল আলম ও পদার্থবিদ্যা বিভাগের শফিকুল ইসলাম শাওন।

মামলার এজেহারে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালীন হত্যার উদ্দেশ্যে দুই নম্বর আসামীর নেতৃত্বে অন্যান্য আসামীরা আল আমিন ভূঁইয়াকে ধাওয়া দেয়। পরবর্তীতে অন্য আসামীরা বিভিন্নভাবে কুপিয়ে আহত করে এবং চার নম্বর আসামি নগদ ৫০০০ হাজার টাকাসহ মানিব্যাগটা চিনিয়ে নেয়।

অপরদিকে বিলুপ্ত কমিটির সদ্যস্য ও সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা আবু হেনা রনি বাদী হয়ে সিএফসি গ্রুপের ১১ জনের নাম উল্লেখ করে রাতে অপর একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযুক্তরা হলেন, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আবদুল্লাহ আল নাহিয়ান রাফি, সমাজতত্ত্ব বিভাগের আল আমিন ভূঁইয়া , লোক প্রশাসন বিভাগের ইমরান হোসেন, ইসলামের ইতিহাস বিভাগের কনক সরকার, পরিসংখ্যান বিভাগের পিয়াস সরকার, আইন বিভাগের মির্জা খবির সাদাফ, সমাজতত্ত্ব বিভাগের আরিফুল ইসলাম, লোক প্রশাসন বিভাগের প্রান্ত মল্লিক, সংস্কৃতি বিভাগের সন্দীপ বিশ্বাস, রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের মোহন খান, আরবি বিভাগের অলিউল্লাহ।

এই মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক থেকে এগারো নাম্বার বিবাদীসহ ৩/৪ জন মিলে অতর্কিত হামলা চালায়।বিবাদীগন গাছের লাঠি, কিল, ঘুষি ও ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। তিন নম্বর বিবাদী ৪৫০০টাকা সহ মানিব্যাগ চিনিয়ে নেয়।

প্রসঙ্গত টানা কয়েকদিন ধরে ছাত্রলীগের
বগিভিত্তিক দুই সংগঠনের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ১১ ছাত্রলীগ কর্মী আহত হন।

পরে পুলিশ শাহ আমানত ও শাহ জালাল হলের সামনে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখে।