মোহাম্মদ হোসেন,হাটহাজারী :

চ.বি ভর্তি পরীক্ষা চললে থেমে নেই ধর্মঘট এতে চরম বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। সড়ক পরিবহন আইনের কয়েকটি ধারা বাতিলসহ ৮ দফা দাবিতে সারাদেশে শ্রমিকদের ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশব্যাপী শুরু হওয়া এই ৪৮ ঘন্টা ধর্মঘটে রাস্তাঘাটে গণপরিবহন না থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কর্মস্থগামী মানুষ। এছাড়া চবি ভর্তি পরীক্ষা হাজারো শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগের মধ্যে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে হিশশিম খেতে হয়েছে। সকাল থেকে সিএনজি(অটো-রিকসা) স্বাভাবিক থাকলেও সকাল থেকে কর্মজীবি মানুষ গুলো রাস্তায় নানা সমস্যায় পড়তে হয়েছে। অনেকেই কর্মস্থলে পৌঁছতে বেশ হিমশিম খেতে হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও থানা পুলিশ সূত্র জানান, রবিবার সারাদেশে শ্রমিকদের ডাকা টানা ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট প্রথম দিনে উত্তর চট্টগ্রামের সড়ক যোগাযোগ অচল হয়ে পড়ে। ধর্মঘট চলাকালে হাটহাজারীতে কোনো অপপ্রতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। সিএনজি ছাড়া সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ ছিল। তবে চ.বি পরীক্ষার্থীদের জন্য উম্মুক্ত থাকে বাস,সিএনজি অটো-রিকসাসহ ছোট যানবাহন।

চট্টগ্রাম মুরাদপুর থেকে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন নাজমুল নাহার,মোহাম্মদ আলী ও জাবেদ নামে তিন জন চাকরিজীবী। তাদের অফিস হাটহাজারী পৌর সদরে হওয়ায় তারা ২ঘন্টা গাড়ির জন্য অপেক্ষার পর রিকসা নিয়ে গন্তব্য যেতে পুরাদপুর থেকে যাত্রা করেন। তারা বলেন, ধর্মঘট এমন হবে ভাবতেই পারিনি। এসবের কিছু মানে হয় না। রিকশাও এত দূরে যেতে চাইছে না। সিএনজি অটোরিকশা যে ভাড়া চেয়েছে তা শুনে মাথা ঘুরে গেছে। তবে তাদের দাবী চ.বি ভর্তি পরীক্ষার্থীদের অবিভাবক সেজে যেতে হবে তাও চ.বি ১ নং গেইট পর্যন্ত আর সেখান থেকে হাটহাজারী যেতে অন্যা কৌশল নিতে হবে বলে জানান ধর্মঘটের কারনে তেমন কোন বাস, টেম্পো ও সিএনজি চলেনি। এই সুযোগে রিকশাচালকরা ভাড়া দ্বিগুণ হাঁকিয়েছে।। হঠাৎ করে ৪৮ ঘন্টা পরিবহন ধর্মঘট শুরু হওয়ায় সাধারণ জনগণ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের আট দফা দাবিগুলো হলো- সড়ক দুর্ঘটনায় মামলা জামিনযোগ্য করতে হবে, শ্রমিকদের অর্থদন্ড ৫ লাখ টাকা করা যাবে না, সড়ক ক দুর্ঘটনা তদন্ত কমিটিতে শ্রমিক প্রতিনিধি রাখতে হবে, ড্রাইভিং লাইসেন্সে শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণি করতে হবে, ওয়েস্কেলে (ট্রাক ওজন স্কেল) জরিমানা কমানোসহ শাস্তি বাতিল করতে হবে, সড়কে পুলিশের হয়রানি বন্ধ করতে হবে, গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের সময় শ্রমিকদের নিযোগাগপত্র সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সত্যায়িত স্বাক্ষর থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। সব জেলায় শ্রমিকদের ব্যাপক হারে প্রশিক্ষণ দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করতে হবে এবং লাইসেন্স ইস্যুর ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধ করতে হবে।