বিশেষ প্রতিবেদক:
কক্সবাজারে এক স্কুল ছাত্রীকে বেধড়ক পিঠিয়ে গুরুতর আহত করেছে শিক্ষক। আহত ছাত্রী কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
সূত্রমতে, কক্সবাজার শহরের পশ্চিম কুতুবদিয়া পাড়ার জাকারিয়া আজাদের মেয়ে নাজিফা স্থানীয় ককসন মাল্টিমিডিয়া স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী। প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার স্কুলে যায়। সেখানে দুপুর একটার দিকে হেলাল উদ্দিন নামের এক শিক্ষক ক্লাস নিতে শ্রেণী কক্ষে যায়। এক পর্যায়ে উক্ত শিক্ষকের পরিচালনাধীন কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট পড়ার পরার্মশ দেন শিক্ষক। এসময় নাজিফা বাড়ীতে গৃহ শিক্ষকের নিকট পড়ে বলে জানালে উক্ত শিক্ষক ক্ষিপ্ত হয়ে আবুল তাবুল প্রশ্ন করতে থাকে। এক পর্যায়ে পড়া না শিখার ওজুহাত তুলে এলোপাতাড়ি বেত্রাঘাত করে শিক্ষক। পরে স্কুল ছুটি হলে বাসায় চলে যায় ছাত্রী নাজিফা।
নাজিফার মোজাম্মেল হক জানান, বাড়ীতে গিয়ে মেয়ে প্রচন্ড কান্নাকাটি শুরু করে এবং এক পর্যায়ে বমি করে। পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে ডাক্তারের জিজ্ঞাসাবাদে পিঠানোর দাগ ও মূল ঘটনা বেরিয়ে আসে। এই ঘটনায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান চাচা মোজাম্মেল।
মারধরের ব্যাপারে শিক্ষক হেলাল উদ্দিন জানান, প্রাইভেট না পড়ার ওজুহাতে পিঠানোর বিষয়টি সত্য নয়। মূলত শ্রেণী কক্ষে পড়া না পারার কারনে তাকে কান ধরে টেবিলের উপর দাড়িয়ে রাখা হয়েছিল। যেন অন্যান্য শিক্ষার্থীরা দেখলে সে লজ্জায় পড়া শিখে। তবে পিঠানো হয়েছে কিনা তা মনে পড়ছেনা বলে দাবী করেন শিক্ষক হেলাল উদ্দিন।
উপরোক্ত বিষয়ে ককসন মাল্টিমিডিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাহাত ইকবালের কাছ থেকে জানতে চাইলে
বলেন, মন মেজাস খুব খারাপ। আমি উক্ত বিষয়ে কিছুই বলতে পারছিনা।
এদিকে স্থানীয়দের মতে, হেলাল ও রাহাত দুই ভাইসহ তাদের আত্মীয় স্বজনরা মিলে স্কুলের নামে পারিবারিক ব্যবসা শুরু করেছে। আর সেখানে প্রতিনিয়ত কোমলমতি শিশুদের শিক্ষার নামে আমানবিক নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন খন্দকার  বলেন, শহরের পশ্চিম কুতুবদিয়া পাড়ার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী নাজিফাকে শিক্ষক কর্তৃক মারধরের বিষয়টি অনেকেই অবগত করেছেন। ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথেই অবশ্যই এ্যাকশন নেয়া হবে।