আবুল আলী, টেকনাফ :
টেকনাফে হত্যা ও মানব পাচার মামলার পলাতক আসামী আজগর আলী (৪৫)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজগর টেকনাফ সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিম পাড়ার বাসিন্ধা বর্তমানে ডাঙ্গর পাড়া এলাকায় বসবাসকারী অলি আহাম্মদের ছেলে।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) রনজিত কুমার বড়ুয়া বলেন, মঙ্গলবার ২৫ সেপ্টেম্বর বিকালে থানার উপ-পরিদর্শক এসআই শরীফুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সংবাদে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের লম্বরী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছে। আটক আজগরের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা ও মানব পাচারের মামলা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আটক আজগর দীঘদিন ধরে পুলিশের চোঁখ ফাকি দিয়ে সাবরাং ও টেকনাফ সদর এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন বাড়ী করে বসবাস করে আসছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে অপরাধী যে হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে এমনটি জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য যে, গত বছরের ১৭ আগষ্ট সাবরাং হারিয়াখালী সৈকত এলাকা থেকে শাহপরীর দ্বীপ পশ্চিম পাড়া এলাকার বাসিন্ধা, বর্তমানে কোয়াইনছড়ি পাড়া এলাকায় বসবাসকারী আলী আহমদের ছেলে গফুর আলম এর লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পিতা আলী আহামদ বাদী হয়ে আজগর আলীকে প্রধান আসামী করে তার স্ত্রী রাবিয়া খাতুন, হারিয়াখালীর আমান উল্লাহ, পশ্চিমপাড়া এলাকার বাসিন্ধা বর্তমানে হারিয়াখালী বসবাসকারী লাল মিয়া, মাঝের পাড়ার রশিদ উল্লাহকে সহ আরও অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এ হত্যা মামলায় দীঘদিন পলাতক থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার প্রধান আসামীকে পুলিশ আটক করতে সক্ষম হয়েছে।
মূলত এ ঘটনাটি সাগরে মাছ ধরার আড়ালে ইয়াবার চালান গায়েবকে কেন্দ্র করে ঘটেছে বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এ মামলা থেকে রেহায় পেতে নানা তদবির চালিয়ে আসছিল। পুলিশের জালে আটক হয়ে তার সব শেষ হয়ে গেল।
এছাড়া শাহপরীর দ্বীপের আজগর একজন র্শীষ মানব পাচারকারী হিসাবে এলাকায় পরিচিত। এক সময় তার নেতৃত্বে শাহপরীর দ্বীপ এলাকা দিয়ে সাগর পথে হাজার হাজার লোককে মালয়েশিয়া পাচার করা হয়েছে। সে মানব পাচারে জড়িয়ে অল্প দিনে বিশাল অর্থ বিত্তের মালিক বনে যায়। গত ২০১৩ সালের ২১ এপ্রিল টেকনাফ থানায় তার বিরুদ্ধে মানব পাচার মামলাও রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এ অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।