নিজস্ব প্রতিনিধি, পেকুয়া  :

কক্সবাজারের পেকুয়ায় প্রবাহমান খালে মাটি ভরাট করলেন শফিউল আলম নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। মাটি ভরাটের মাধ্যমে খালটি দখল করে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও এ জবর দখলের স্থানীয় মসজিদের মুসল্লী ও ফোরকানীয়া মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের চলাচলের প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (১৮ সেপ্টেম্বর) উপজেলা সদর ইউনিয়নের উত্তর মেহেরনামা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এমনকি খালের এক পাশ দখল করায় নিকটবর্তী মসজিদের ভিটেয় ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে মসজিদটি ভাঙ্গনের কবলে পড়ার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় জড়িত প্রভাবশালীর পক্ষের লোকজন মারমুখি ভুমিকা থাকায় স্থানীয়রা প্রতিবাদ করার সাহসও পাচ্ছেনা।

স্থানীয়রা জানান, উত্তর মেহেরনামা ঠান্ডার পাড়ায় মৃত সিরাজ মিয়ার পুত্র শফিউল আলম এ খাল সংলগ্ন জমিতে বিশাল আকারের দালান তৈরি করে। দালান তৈরি করলেও তা ব্যবহারের জন্য কোন উঠান না থাকায় দেয়াল দিয়ে খালের বেশ কিছু অংশ দখল করে নেয়। একপর্যায়ে মাটি ভরাট করে খালটিকে উঠান হিসেবে তৈরি করে ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি। আর এ খাল দখল করতে ওই প্রভাবশালীকে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ ইসমাঈল সিকদার। স্থানীয়রা খাল দখলের প্রতিবাদ করলে ইউপি সদস্য ইসমাইল প্রশাসনের মাধ্যমে মামলার ভয় দেখিয়ে কাবু করে রাখে।

তারা আরো জানান, খালটির পাশে রয়েছে বাইতুর রহমান জামে মসজিদ ও ফোরকানীয়া মাদ্রসা। মুসল্লী ও শিক্ষার্থীরা খালটি পারাপারের জন্য একটু সাকো রয়েছে। দখলকৃত খালের জন্য সাকোটিও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

এবিষয়ে জানতে শফিউল আলমের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চালানো হলেও তাকে পাওয়া না যাওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসমাঈল সিকদার বলেন, খাল দখলের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। এ ঘটনায় আমার নাম কেন জড়িয়ে দেয়া হচ্ছে তা আমি অবগত নই। তারপরও আমি সরেজমিন গিয়ে বিষয়টি দেখে আসব।