ইমাম খাইর, সিবিএন:
আমিনুল হোসেন এনশাদ (১৬) ও আফতাব হোসেন মেহরাব (১৪) তারা সহোদর, চকরিয়া আনোয়ার শপিং কমপ্লেক্সের মালিক আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন তাদের পিতা। মেহরাব ও এনশাদ কোটিপতি বাবার ২ ছেলে সন্তান।
একমাত্র বড়বোন নওশাদ বিনতে আনোয়ার (স্মৃতি) চকরিয়া কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে পড়ে।
আফতাফ হোসেন মেহরাব চকরিয়া গ্রামার স্কুলে ৮ম শ্রেণী, আমিনুল হোসেন এনশাদ বিজ্ঞান বিভাগের দশম শ্রেণীর ছাত্র।
শনিবার (১৪ জুলাই) বিকালে মেধাবী ও দুরন্তপনা এই দুই ভাই আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিল দলে বিভক্ত হয়ে খেলতে নামে মাতামুহুরীর ব্রীজের নীচে পূর্বচরে।
কে জানে, সখের ফুটবল খেলা শেষ না হতেই মৃত্যুদূত তাদের পেয়ে বসবে? চির বিদায় নিতে হবে পৃথিবী থেকে? রাক্ষুসে মাতামুহুরীর ইতিহাসে যুক্ত হবে আরেকটি মর্মন্তুদ ট্রাজেডি?

নিরব নিস্তব্ধ আমিনুল হোসেন এনশাদ ও আফতাব হোসেন মেহরাব।

নিয়তির নির্মম পরিহাস, খেলার সময় পানিতে পড়ে যাওয়া ফুটবল আনতে গিয়ে ডুবে গেল মেহরাব ও এনশাদ। প্রাণ নিয়ে ফিরতে পারেনি সহপাঠী ও স্বজনদের কাছে। ফুটন্ত চেহারার দুই ভাই লাশ হয়ে ফিরলো তাদের বাড়িতে।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে যখন সহোদরের মরদেহ বাড়ীতে নেয়া হয়, তখন নেমে আসে নিরবতা, বিরাজ করছে নিস্তব্ধতা।
আনোয়ার হোসেন কোম্পানীর সুখের সংসারে মুহুর্তেই বিষাদের সুরে ভরে গেছে। চকরিয়া পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের স্টেশনপাড়ায় চলছে শোকের মাতম। চারিদিকে কান্নার রোল ও আহাজারি। শোকাহত স্বজন ছাড়াও বিলাপ ধরেছে পাড়া পড়শীরা।

ঘটনার পর মাতামুহুরীর পাড়ে উৎসুক জনতা

নিহত মেহরাব ও এনশাদের আদুরে বোন স্মৃতি আকস্মিক দুই ভাইকেই হারিয়ে নির্বাক। বারবার মুর্ছা যাচ্ছে। সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা নেই কারো।
আফতাফ হোসেন মেহরাব ও আমিনুল হোসেন এনশাদের মতো হতভাগার কাতারে শামিল হলো ফারহান বিন শওকত, সাঈদ জওয়াদ অরবিহ ও পূণ্য ভট্টাচার্য্য।
তারাইও একই স্কুলের দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র।