প্রেস বিজ্ঞপ্তি॥

শায়খুল ইসলাম আল্লামা আতহার আলী রহ. খতীবে আযম আল্লামা ছিদ্দিক আহমদ রহ. এর সান্নিধ্যধন্য বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির প্রবীণ নেতা, কক্সবাজার জেলার সাবেক সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ হানিফ ৭ জুলাই, শনিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় ইন্তেকাল করেন- ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। ইন্তেকালের সময় তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী, চার ছেলে, চার মেয়েসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে যান। আজ সকাল ১০টায় মরহুমের নিজ গ্রাম রামু কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের উখিয়ারঘোনা টিলা পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে।

নেজামে ইসলাম পার্টি ও ইসলামী ছাত্রসমাজের শোক

বর্ষীয়ান এ আলেমেদ্বীন ও প্রবীণ নেতার ইন্তেকালে গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসমাজের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বর্তমান মজলিশে শুরার সভাপতি ড. আ.ফ.ম. খালিদ হোসেন, সাবেক কেন্দ্রিয় সভাপতি মাওলানা আবদুল খালেক নিজামী, মাওলানা আবদুল মাজেদ আতহারী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, নেজামে ইসলাম পার্টি কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা হাফেজ ছালামতুল্লাহ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আ. হ.ম নুরুল কবির হিলালী,সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াছিন হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফরিদুল হক, কক্সবাজার শহর সভাপতি মাওলানা নুরুল হক চকোরী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা খালেদ সাইফি, রামু উপজেলা দায়িত্বশীল মাওলানা শহীদুল্লাহ, মাওলানা হুমায়ুন কবির, ইসলামী ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও কক্সবাজার জেলা সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আব্দুল হামিদ, রামু উপজেলা সভাপতি মুহাম্মদ দিদারুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আতাউল্লাহ প্রমুখ।

এক শোকবার্তায় নেতৃবৃন্দ বলেন, মাওলানা মুহাম্মদ হানিফ ছিলেন একজন মেধাবী আলেমেদ্বীন, বর্ষীয়ান ইসলামী রাজনীতিবিদ,একনিষ্ঠ সমাজ সেবক। দ্বীনি শিক্ষার প্রসার, ইসলামী নেজাম প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম, সমাজ সংস্কার ও মানবসেবায় বিশিষ্ট এ আলেমেদ্বীনের অবদান চির ম্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রবীণ আলেমেদ্বীন মাওলানা হানিফের ইন্তেকালে জেলাবাসী একজন বড় মুরুব্বীকে হারালো। নেতৃবৃন্দ মহান আল্লাহর দরবারে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

উল্লেখ্য, প্রবীণ এ রাজনীতিবিদ দীর্ঘ দিন যাবৎ শারীরিকভাবে অসূস্থ ছিলেন। ২৬ জুন সকাল থেকে অসুস্থতা বেড়ে যায় এবং তিনি বাকরুদ্ধ ও অচেতন হয়ে পড়েন। তখন থেকেই কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল কর্তব্যরত ডাক্তারের পরামর্শে তাঁকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। ৭ জুলাই বিকাল সাড়ে ৫টায় তিনি মহান আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে আমাদেরকে চিরবিদায় জানিয়ে চিরদিনের জন্য চলে যান।